দেশের বীমা খাতের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন প্রয়োজন বলে মনে করছেন বীমা খাতের বিশেষজ্ঞরা। তারা জানান, কোম্পানিগুলো যেসব তথ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে জমা দেয়, সেই তথ্য এবং সফটওয়্যারে আপলোড করা তথ্যের মাঝে গরমিল দেখা যায়। কোম্পানিগুলো প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত হলে এই সমস্যা থাকবে না এবং গ্রাহকের আস্থা বৃদ্ধি পাবে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বীমা খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) সাভারের শক্তি ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে “বীমা খাতের আধুনিকায়নে প্রযুক্তির ব্যবহার” শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন করে।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক সিইও এস এম জিয়াউল হক। এছাড়া দুয়ার সার্ভিসেস পিএলসির পক্ষে ছিলেন শাহনেওয়াজ দুর্জয়। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান।
বক্তারা বলেন, “ব্যাংকিং খাত প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত। কোনো ব্যাংক অনিয়ম করলে বাংলাদেশ ব্যাংক তা সঙ্গে সঙ্গে চিহ্নিত করতে পারে। কিন্তু বীমা খাত এখনও সে পর্যায়ে পৌঁছায়নি। ফলে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ না হলেও কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারছে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ প্রযুক্তিগতভাবে কোম্পানিগুলোকে সংযুক্ত করার চেষ্টা করছে, তবে কিছু কোম্পানির অসহযোগিতার কারণে বাস্তবায়ন হচ্ছে না।”
তারা আরও জানান, “বীমা খাতকে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত করা সম্ভব হলে গ্রাহক প্রিমিয়াম জমার সঙ্গে সঙ্গে তার তথ্য জানতে পারবেন। এতে বীমার প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং খাতে শৃঙ্খলাও ফিরবে।”
দুয়ার সার্ভিসেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটি বীমা খাতের সার্বিক মান উন্নয়নে ১০টি কেন্দ্রীয় ডিজিটাল সিস্টেম সমৃদ্ধ ইন্স্যুরেন্স ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইআইএমএস) বাস্তবায়ন করছে। কেন্দ্রীয় পলিসি ডিপোজিটরি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সব বীমা পলিসির তথ্য সংরক্ষণ হচ্ছে এবং গ্রাহক দাবির যথাসময়ে পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।
প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, “আইআইএমএস বাস্তবায়নের ফলে অনেক বীমা কোম্পানি তাদের অভ্যন্তরীন আইটি অবকাঠামো শক্তিশালী করছে। গ্রাহক প্রিমিয়াম জমা, পলিসি অন-বোর্ডিং বা দ্রুত পলিসি চালুর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ই-কেওআইসি সিস্টেম এবং ই-রিসিপ্ট সিস্টেম কার্যকর করা হচ্ছে।”
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন আইআরএফ সভাপতি গাযী আনোয়ার।