রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ১১:১১ পিএম

রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি , নারী যাত্রীদের ‘যৌন নিপীড়নের’ অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫, ১১:১১ পিএম

রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ,  নারী যাত্রীদের ‘যৌন নিপীড়নের’  অভিযোগ

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও দুই নারী যাত্রীকে ‘যৌন নিপীড়নের’ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে বাসের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে নাটোরের পুলিশ।

মঙ্গলবার দুপুরে বড়াইগ্রামের থানার মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান বড়াইগ্রাম থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম।

গ্রেপ্তাররা হলেন, বাসের চালক রাজশাহীর বোয়ালিয়ার শাহমুকদুম কলেজ এলাকার আব্দুল গফুরের ছেলে বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সাধুর মোড় এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে সুমন ইসলাম (৩৩) এবং সহকারী পূর্ব কাঁঠালিয়া এলাকার আঙুর মণ্ডলের ছেলে মাহবুব আলম (২৮)।

যাত্রীদের অভিযোগের বরাতে ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস পরিবহনের বাসটি সোমবার রাত ১০টায় গাবতলি থেকে ছেড়ে আসে। পথে গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় বাসটিতে আরও কয়েকজন যাত্রী উঠে।

তিনি আরও জানান, বাসটি টাঙ্গাইল জেলায় আসলে নতুন যাত্রীসহ পূর্বের কয়েকজন মিলে আট থেকে দশ জনের একটি দল বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা যাত্রীদের মালামাল লুটপাটসহ দুই নারী যাত্রীকে যৌন নিপীড়ন করে মীর্জাপুর এলাকায় নেমে যায়।

ওসি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে যাত্রীবাহী বাসটি বড়াইগ্রাম থানা মোড় এলাকায় পৌঁছালে যাত্রীরা বাসটি আটকে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে বাসটির চালকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ও বাসটি জব্দ করে।

বাসযাত্রী মজনু আকন্দ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসটি ছাড়ার কিছু সময় পরেই আটজন ডাকাত চাকু, ছুরি ও পিস্তল নিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে। তারা ৪০-৫০ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নেয়।

এ সময় দুই নারী যাত্রীকে ডাকাতেরা ‘ধর্ষণ’ করে বলেও অভিযোগ করেন এই যাত্রী।

পরে ডাকাতেরা বাসটিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকায় নির্জন স্থানে থামিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি মির্জাপুর থানাকে জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বাসের আরেক যাত্রী ওমর আলী বলেন, ডাকাতদের সহায়তা করেছেন বাসের চালক ও তার সহযোগীরা। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।

এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, এটাতো টাঙ্গাইলের ঘটনা বলছে যাত্রীরা। তাই বড়াইগ্রাম থানায় মামলা নেওয়ার সুযোগ নাই। এছাড়া গ্রেপ্তাররা ওই ঘটনায় জড়িত বলে যাত্রীরা সন্দেহ করছে। যারা গ্রেপ্তার আছে কালকে (বুধবার) সকালে তাদের ৫৪ ধারায় আমরা চালান দিয়ে দিব।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!