সোমবার, ০৩ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

প্রাইজবন্ড ড্রয়ের ফলাফল জানার সহজ উপায়

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

সারাজীবন আয় করা অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করবেন তা নিয়ে চিন্তায় থাকেন অনেকেই। কেউ বিনিয়োগ করেন স্থায়ী সম্পদে, কেউ সঞ্চয়পত্র বা নানা ব্যবসায়। তবে মধ্যবিত্তদের সঞ্চয়ের অন্যতম স্মার্ট মাধ্যম প্রাইজবন্ড। মাত্র ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড কিনে পেয়েও যেতে পারেন সর্বোচ্চ পুরস্কার ৬ লাখ টাকা।

সমাজের সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধির জন্য ‘বাংলাদেশ প্রাইজবন্ড’ নামে এই বন্ড চালু করে সরকার। এটি যেকোনো সময় কেনা ও ভাঙানো যায়।

প্রাইজবন্ড কী

প্রাইজবন্ড হলো বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি বিনিয়োগ প্রকল্প যেখানে বিনিয়োগকারী যেকোনো সময় বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং যেকোনো সময় প্রাইজবন্ড ফেরত প্রদান করে আসল উত্তোলন করতে পারবেন। উক্ত প্রকল্প হতে মুনাফা বা সুদ প্রদান করা হয় না। তবে প্রতি বছর তিন মাস অন্তর অন্তর ড্র অনুষ্ঠিত হয় এবং উক্ত ড্রয়ের মাধ্যমে বিজয়ীদের বিভিন্ন মূল্যমানের পুরস্কার প্রদান করা হয়।

বছরের ৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর তারিখে ড্র অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারিত আছে। নির্ধারিত তারিখে কোনো সাপ্তাহিক বা সরকারি ছুটি থাকলে পরবর্তী কার্যদিবসে ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

তবে বিক্রিত সকল বন্ডই লটারির আওতায় আসে না। যে তারিখে ড্র অনুষ্ঠিত হবে সেই তারিখ থেকে ২ মাস আগে (বিক্রির তারিখ থেকে ‘ড্র’ এর তারিখ বাদ দিয়ে) যে সমস্ত নতুন বন্ড বিক্রি হবে তাসহ পূর্বের বিক্রিত বন্ড ড্রয়ের আওতায় আসবে।

সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে এবং সরকার কর্তৃক নিয়োজিত ‘ড্র’ কমিটি কর্তৃক ‘ড্র’ অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়ে থাকে। একক সাধারণ পদ্ধতিতে ‘ড্র’ পরিচালিত হয় (অর্থাৎ প্রত্যেক সিরিজের জন্য একই নম্বর)। বাজারে প্রচলিত প্রাইজবন্ড সিরিজগুলো এই ‘ড্র’ এর আওতাভুক্ত।

সহজেই প্রাইজবন্ড ড্রয়ের ফলাফল জানবেন যেভাবে

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটের সার্চ বক্সে প্রতিবারে এক বা একাধিক নম্বর অনুসন্ধান করা যাবে। একটি নম্বরের জন্য শুধুমাত্র নম্বরটি টাইপ (সিরিজ নয়) করলেই ফলাফল জানা যাবে। যদি একাধিক প্রাইজবন্ড থাকে এবং তা যদি ক্রমানুসারে হয় তাহলে শুধুমাত্র প্রথম ও শেষ নম্বরের মাঝে হাইফেন (-) টাইপ করে সমস্ত নম্বর অনুসন্ধান করা যাবে। আর যদি একাধিক প্রাইজবন্ড থাকে এবং তা যদি ক্রমানুসারে না হয় তাহলে কমা (,) দ্বারা আলাদা করে সমস্ত নম্বরগুলো টাইপ করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফলাফল জানা যাবে।

এ ছাড়া প্রাইজবন্ডের লটারির ফলাফল জানার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ চালু করেছে প্রাইজ বন্ড রেজাল্ট ইনকুয়্যারি সফটওয়্যার (পিবিআরআইএ)। যার ওয়েব এড্রেস হলো www.irdbd.online।

এ সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে দুইটি পদ্ধতিতে ফলাফল অনুসন্ধান করা যাবে। সার্চ বক্সে সরাসরি নম্বর লিখে এবং নম্বর আপলোড করে অনুসন্ধান করা যাবে।

প্রথম পদ্ধতির ক্ষেত্রে সার্চ বক্সে প্রাইজবন্ডের নম্বরটি (সিরিজ ব্যতীত) বাংলায় অথবা ইংরেজিতে অনুসন্ধান করা যাবে। একসঙ্গে একাধিক নম্বর অনুসন্ধান করলে নম্বরগুলোকে কমা (,) দিয়ে আলাদা করতে হবে। ধারাবাহিক নম্বর অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে প্রথম ও শেষ সংখ্যার মধ্যে হাইফেন (-) ব্যবহার করতে হবে।

দ্বিতীয় পদ্ধতির ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট এক্সেল সিটের কলাম এ তে প্রাইজবন্ডের নম্বরগুলো (সিরিজ ব্যতীত) ইংরেজিতে লিখে শেষ করতে হবে। তারপর এক্সেল ফাইলটি সরাসরি সফটওয়্যারে আপলোড দিতে হবে। অনুসন্ধানের তারিখ শুরু করে পূর্ববর্তী ২ বছরের মধ্যে প্রকাশিত সব ফলাফলের বিপরীতে কোনো মিল পেলে ফলাফলের কপি দেখাবে।

এই সফটওয়্যার থেকে প্রাইজবন্ড ক্রেতারা পুরস্কারের টাকা দাবি ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন। সেই সঙ্গে প্রাইজবন্ডের ড্র বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন।

ক্রেতারা এ সফটওয়্যারে বিনামূল্যে ই-মেইল সাবস্ক্রিপশন করতে পারবেন। এতে সাবস্ক্রিপশনপ্রাপ্ত নাগরিকরা প্রতি ৩ মাস পরপর প্রকাশিত ফলাফল সম্পর্কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমেইলে অবহিত হতে পারবেন।

প্রাইজবন্ডের পুরস্কার

প্রাইজবন্ডে প্রথম পুরস্কার বিজয়ীকে ৬ লাখ টাকা দেয়া হয়। দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ীকে দেয়া হয় তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা করে। তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী এক লাখ টাকা করে এবং চতুর্থ পুরস্কার বিজয়ী ৫০ হাজার টাকা করে পান। পঞ্চম পুরস্কার বিজয়ী প্রত্যেককে দেয়া হয় ১০ হাজার টাকা করে। প্রাইজবন্ডের পুরস্কারের জন্য ঘোষিত সংখ্যার প্রতিটি সিরিজের সেই সংখ্যার বন্ড একই পুরস্কারের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়।

পুরস্কার দাবির সময়সীমা দুই বছর। পুরস্কার দাবির তারিখ থেকে সাধারণত দুই মাসের মধ্যে পুরস্কারের অর্থ পাওয়া যায়। মূলত প্রাপকের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে পুরস্কারের অর্থ জমা হয়ে যায়। তবে আয়কর আইন ২০২৩ এর ১১৮ ধারার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাইজবন্ডে পুরস্কারের অর্থ থেকে ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটার বিধান রয়েছে।

Link copied!