শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৯:৪৪ পিএম

কুড়িগ্রামে তিন স্কুলের পাস করেনি কেউ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৯:৪৪ পিএম

পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কুড়িগ্রাম জেলার তিন‌টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠা‌নের কোনো শিক্ষার্থী পাস কর‌তে পা‌রে‌নি। বিষয়‌টি জানাজা‌নি হ‌লে জেলাজু‌ড়ে আলোচনা-সমা‌লোচনার ঝড় ওঠে।

বিদ‌্যালয় তিনটির একটি হলো, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয় থেকে একজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ক‌রে অকৃতকার্য হয়েছে।

দ্বিতীয়টি হলো, নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়। সেখান থেকে ১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এবং তৃতীয়টি ফুলবাড়ী উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয় থেকে ৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। এ ছাড়াও জেলার বেশ কিছু বিদ্যালয়ে কৃতকার্যের চেয়ে অকৃতকার্যের হারই বেশি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে পূর্ব কুমরপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়টি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পেলেও প্রতিষ্ঠানটি এখনও এমপিওভুক্ত হয়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৯ জন শিক্ষক রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মো. রিয়াজুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। নাগেশ্বরী উপজেলার পয়রাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা যায়নি।

ফুলবাড়ি উপজেলার নজর মাহমুদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তালেব বলেন, ‘বিদ্যালয়টি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০২৩ সালে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদানের অনুমতি পেয়েছি। এ বছর ৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। তারা সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিদ্যালয়ের আশেপাশের গরিব মানুষের বসবাস। পরীক্ষার্থীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি পড়ালেখা করছিল।’ বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে চার জন শিক্ষক ও ১৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে বলেও তিনি জানান।

কুড়িগ্রাম জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম শতভাগ ফেলের বিষয়ে জানান, আমি কিছুদিন আগে এই জেলায় এসেছি। শতভাগ ফেল করা বিদ্যালয়গুলোর অবস্থা কেমন আমার জানা নেই। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে বিদ্যালয়গুলো থেকে কেন কেউ পাশ করেনি তার কারণ প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হবে।

উল্লেখ‌্য, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বোর্ড কমিটির প্রকাশিত ফলাফল থে‌কে জানা গেছে, ২০২৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৬৭ শতাংশ ও ফেলের হার ৩৩ শতাংশ। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলায় পাশের হার ৬২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১৫৮ জন।

Shera Lather
Link copied!