দেশের সব স্কুল ও কলেজে স্কাউট ও রোভার স্কাউট কার্যক্রমে গতি আনতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাতটি কড়াকড়ি নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
বুধবার (৬ আগস্ট) মাউশির উপপরিচালক (শারীরিক শিক্ষা) মো. শহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো
১. কার্যক্রম সচল রাখা: মাউশির আওতাধীন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কাউট ও রোভার স্কাউট কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে চালাতে হবে।
২. নিয়মিত মিটিং করা: ট্রুপ ও ক্রু মিটিং নিয়মিত আয়োজন করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
৩. ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন দাখিল: ইউনিট গঠন, প্রশিক্ষণ ও সেবামূলক কার্যক্রমের প্রতিবেদন প্রতি তিন মাস শেষে, পরবর্তী মাসের ৫ তারিখের মধ্যে মাউশির আঞ্চলিক অফিসে পাঠাতে হবে। আঞ্চলিক অফিসগুলো তা ১০ তারিখের মধ্যে ই-মেইলে (rovscout25@gmail.com) কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠাবে।
৪. তহবিল ব্যবস্থাপনা: স্কাউট/রোভার তহবিল থেকে অর্থ উত্তোলন করতে হবে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও স্কাউট/রোভার লিডারের যৌথ স্বাক্ষরে এবং তা শুধু স্কাউটিং কার্যক্রমেই ব্যয় করতে হবে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত ফি যথাযথ কর্তৃপক্ষের (উপজেলা/জেলা স্কাউটস) কাছে নিয়মিত পরিশোধ নিশ্চিত করতে হবে।
৫. বার্ষিক পরিকল্পনা: স্কাউট/রোভার লিডারদের এক বছরের পরিকল্পনা সংশ্লিষ্ট গ্রুপ কমিটির অনুমোদনক্রমে গ্রহণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে এর তদারকি নিশ্চিত করতে হবে।
৬. লিডার না থাকলে দ্রুত নিয়োগ: যেসব প্রতিষ্ঠানে স্কাউট বা রোভার লিডার নেই, প্রতিষ্ঠান প্রধানকে দ্রুত জেলা বা আঞ্চলিক দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
৭. বার্ষিক প্রতিবেদন প্রেরণ: স্কাউটিং কার্যক্রমের বার্ষিক প্রতিবেদন জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে আঞ্চলিক অফিসে এবং সেখান থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে মাউশির কেন্দ্রীয় দপ্তরে ই-মেইলে পাঠাতে হবে।
এ ছাড়াও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে স্কাউট ও রোভারদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সম্পৃক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাউশি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এসব নির্দেশনা পালনে অবহেলা বরদাশত করা হবে না। শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে স্কাউটিংয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে প্রতিষ্ঠানপ্রধানদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের ওপরই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :