রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ববি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম

পোষ্য কোটায় ভর্তির হলেন উপাচার্যের মেয়ে, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

ববি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

পোষ্য কোটায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. তৌফিক আলমের মেয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের একটি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৪০ এবং মেধাক্রম ৩২ হাজার। তবে উক্ত অনুষদে কোটাবিহীন মেধাতালিকায় সর্বশেষ ৫০৩৫তম স্থান পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানা গেছে।

চলতি শিক্ষাবর্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তি হওয়া তিন শিক্ষার্থীর পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন: উপাচার্যের মেয়ে (৪০ নম্বর), বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানের ছেলে (৩৯.৫০ নম্বর) এবং ইলেকট্রিশিয়ান আরিফ হোসেন সুমনের ছেলে (৫৩.৫০ নম্বর)। এ বছর পোষ্য কোটাসহ বিভিন্ন কোটায় মোট ২১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অন্যান্য কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে ‘এ’ ইউনিটে প্রতিবন্ধী কোটায় ৩ জন, হরিজন ও দলিত কোটায় ১ জন। ‘বি’ ইউনিটে মুক্তিযোদ্ধা (সন্তান) কোটায় ৪ জন, প্রতিবন্ধী কোটায় ২ জন, হরিজন ও দলিত কোটায় ১ জন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ১ জন। ‘সি’ ইউনিটে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ২ জন, বিকেএসপি কোটায় ১ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১ জন, হরিজন ও দলিত কোটায় ১ জন এবং প্রতিবন্ধী কোটায় ১ জন।

গত বছর কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। এর ফলশ্রুতিতে তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। কিন্তু তারপরও কোটা পদ্ধতি বহাল রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজ মেয়েকে পোষ্য কোটায় ভর্তি করানোর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক শিক্ষার্থী। তাদের ভাষ্য, পোষ্য কোটা হলো সবচেয়ে বড় অযৌক্তিক কোটা। একজন উপাচার্যের সন্তান যদি মেধার ভিত্তিতে ভর্তি হতে না পেরে কোটার সুবিধা নেয়, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তারা এই অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন এবং প্রকৃত মেধাবীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ভর্তি টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, ‘গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী ৩০ নম্বর পাস মার্ক অতিক্রম করলেই কোটা ব্যবহার করা যায়। উপাচার্যের মেয়ে শর্ত পূরণ করেই কোটার সুবিধা পেয়েছে। এখানে নিয়মের বাইরে কোনো বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়নি।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!