ঢাকা বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫

ইবিতে বাংলার প্রাচীন লোকজ অলংকার প্রদর্শনী

ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি- সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার হারিয়ে যেতে বসা ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে প্রাচীনকালে নারীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন লোকজ অলংকার সংগ্রহ ও প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের উদ্যোগে রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের ৫ম তলার করিডোরে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রহ করা বাংলার প্রাচীন যুগে ব্যবহৃত নারীদের বিভিন্ন অলংকার প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে রূদ্রাক্ষ, কল্কা, রূপার নূপুর, নাকছাবি, ঘুঙরু, কাঠের চুড়ি, শাঁকের হার, হাতির দাঁতের দুল, বাঁশের কেশবন্ধনী, পুতির মালা, ধানের তাবিজ, টিকলি, তুলসি মানা, মাটির চুড়ি, তিন ধাতুর চুড়ি, তামার পেটি, রত্নপাথরের আংটি ইত্যাদি।

প্রাচীনকালে নারীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন লোকজ অলংকার। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

শিক্ষার্থীরা জানান, এখন এসব অলংকার আর ব্যবহার হয় না। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় নিত্যনতুন ডিজাইনের অলংকার ব্যবহারে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। আমাদের নানি-দাদিদের সময় যেসব অলংকার ব্যবহৃত হতো, আমরা চেষ্টা করেছি সেগুলো বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে আজকের প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করতে। এই অলংকারগুলো শুধু সৌন্দর্য বর্ধনের উপকরণ নয়, অনেকটির পেছনে লোকবিশ্বাস বা ধর্মীয় বিশ্বাসও জড়িত ছিল।

বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এরশাদুল হক বলেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ‘বাংলার লোকজীবনে ব্যবহৃত লোক অলংকার’ শিরোনামে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলার গ্রামীণ সমাজে প্রচলিত ঐতিহ্যবাহী অলংকারের নান্দনিকতা, ব্যবহারিক দিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রদর্শনীর প্রতিটি উপকরণ আমাদের লোকসংস্কৃতির জীবন্ত সাক্ষ্য বহন করে, যা শিক্ষার্থীদের গবেষণাধর্মী চিন্তাভাবনার ফসল এবং বাংলার লোকজীবন সম্পর্কে গভীর অনুধাবনের প্রমাণ।