ঢাকা শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জাকসুর ফলাফল দিতে কেন এত সময় লাগছে

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৫, ১২:১২ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ গ্রাফিক্স

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট বাক্সগুলো সিনেট হলে নেওয়া হয় এবং রাত সোয়া ১০টা থেকে গণনা শুরু হয়।

জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১,৮৪৩ জন, যার মধ্যে ছাত্র ৬,১১৫ এবং ছাত্রী ৫,৭২৮। একজন ভোটার কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি এবং হল সংসদের ১৫টি পদে ভোট দিতে পারেন। হল সংসদে মোট ২১টি হলে ৩১৫টি পদ রয়েছে। প্রতিটি হেলে ১৫টি করে পদে প্রার্থী হয়েছেন, মোট ৪৪৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ১১টি হলে ছাত্র প্রার্থী সংখ্যা ৩১৬ এবং ১০টি হলে ছাত্রী প্রার্থী সংখ্যা ১৩১।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভোট গণনার জন্য প্রথমে ওএমআর পদ্ধতি ব্যবহার করার কথা থাকলেও ছাত্রদলসহ কয়েকটি প্যানেলের আপত্তির কারণে গণনা ম্যানুয়ালি করা হচ্ছে। এ কারণে নির্বাচন কমিশন ১৩ ঘণ্টা পার হলেও হল সংসদের ভোট গণনা শেষ করতে পারেনি।

নির্বাচন সূত্রে বলা হয়েছে, ভোটগণনার গতি অনুযায়ী দুপুরের মধ্যে হল সংসদের ফলাফল নির্ধারণ হবে এবং এরপর কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা শুরু হবে। ম্যানুয়াল পদ্ধতির কারণে এই গণনা সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগবে।

নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক খো. লুৎফুল এলাহী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখনো কেবল হল সংসদের গণনা চলছে। সকাল পর্যন্ত ১০টি হলের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি হলগুলো শেষ হলে কেন্দ্রীয় সংসদের গণনা শুরু হবে। সব মিলিয়ে ফলাফল ঘোষণার সম্ভাবনা জুমার নামাজের পর।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষক ও কর্মকর্তারা সারাদিন ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করেছেন, এখন আবার ভোট গণনায় নিয়োজিত আছেন। ফলে কাজের গতি কিছুটা ধীর।’

এর আগে নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের চারটি প্যানেল ভোট বর্জন ও পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। এই প্যানেলগুলো হলো ‘সম্প্রীতির ঐক্য’, ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আংশিক প্যানেল।

এছাড়া কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও এসব প্যানেলের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ভোট বর্জন করেছেন। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থীরা ভোটে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।