দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। ভরিতে ৩ হাজার ৪৪ টাকা বাড়িয়ে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩২ টাকা। সবশেষ ঘোষণার পর থেকে নতুন এই দামেই দেশের বাজারে স্বর্ণ কেনাবেচা হচ্ছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) রাতের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের এ নতুন দর ঘোষণা করে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও স্থানীয় বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই এ সমন্বয় আনা হয়েছে। বিশেষ করে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩২ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭০ হাজার ৭০৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ২১ হাজার ১৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের নির্ধারিত মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন, কারুকাজ ও মান অনুযায়ী মজুরির তারতম্য হতে পারে। ফলে গ্রাহকদের ক্রয়মূল্য দোকানভেদে কিছুটা পার্থক্য দেখা দিতে পারে।
এর আগে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বাজুস সর্বশেষ যে দর নির্ধারণ করেছিল, তাতে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৮ টাকা। ওই সময় ২১ ক্যারেটের দাম ছিল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২ টাকা। নতুন ঘোষণায় প্রতিটি ক্যারেটের স্বর্ণেই দাম বেড়েছে।
ফলে এক মাসের ব্যবধানে দেশের বাজারে ভরিপ্রতি স্বর্ণের দাম প্রায় কয়েক হাজার টাকা বেড়ে গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা, ডলার সংকট এবং আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বাংলাদেশেও এর প্রভাব ফেলছে।