চার্লি কার্ককে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেন্টাগনের বাইরে, ৯/১১ সন্ত্রাসী হামলার ২৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় এ কথা বলেন তিনি। বলেন, ‘আমি আপনাদের একটি জিনিসের নিশ্চয়তা দিতে পারি যে অনুষ্ঠানে ব্যাপক জনতার উপস্থিতি থাকবে।’
ট্রাম্প তার বক্তব্য শুরু করেন চার্লি কার্কের স্মৃতিচারণ দিয়ে। বলেন, ‘চার্লি কার্ককে নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনায় আমেরিকান জনগণের মধ্যে যে শোক ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তা আমি গভীরভাবে অনুভব করছি। আমরা তাকে গভীরভাবে মিস করছি। কিন্তু আমি নিশ্চিত, চার্লির কণ্ঠ এবং তার সাহসিকতা, যা তিনি বিশেষ করে তরুণদের হৃদয়ে সঞ্চার করেছিলেন, তা চিরকাল বেঁচে থাকবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস ইভেন্টে গুলিবিদ্ধ হয়ে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নিহত হয়েছেন চার্লি কার্ক। বক্তৃতা দেওয়ার সময় তার ঘাড়ে গুলি লাগে এবং তিনি মঞ্চের ওপর পড়ে যান। এ সময় অনুষ্ঠানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং লোকজন ছুটোছুটি শুরু করে। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, গুলি লাগার পর কার্কের ঘাড় থেকে রক্ত ঝড়ছে। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন চার্লি কার্ক। মৃত্যুর সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী রক্ষণশীল রাজনৈতিক এই নেতার বয়স হয়েছিল ৩১ বছর। তিনি ‘দ্য আমেরিকান কমব্যাক ট্যুর’নামের রাজনৈতিক সফরের অংশ হিসেবে তরুণদের মধ্যে রক্ষণশীল মূল্যবোধ প্রচার করছিলেন। টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর সহ-প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন, যা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় কনজারভেটিভ যুব সংগঠন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সক্রিয় ছিলেন কার্ক। তার অনুসারীর সংখ্যা ৫৩ লাখের বেশি। পাশাপাশি তিনি জনপ্রিয় পডকাস্ট ও রেডিও শো ‘দ্য চার্লি কার্ক শো’পরিচালনা করতেন। ফক্স নিউজে তিনি সহ-উপস্থাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে তরুণ ভোটারদের সমর্থন আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল কার্কের সংগঠন টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ। ট্রাম্পও স্বীকার করেছিলেন, তার দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে কার্কের বড় ভূমিকা ছিল।