ঢাকা শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫

রাকসুতে শিবির প্যানেল থেকে জয়ী কে এই সনাতন ধর্মাবলম্বী সুজন?

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ১১:১৬ এএম
রাকসু) নির্বাচনে শিবির সমর্থিত প্যানেল থেকে জয়ী সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী সুজন চন্দ্র।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে শিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেল থেকে জয় পেয়ে সবাইকে চমকে ‍দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী সুজন চন্দ্র। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ পরিচিত মুখ সুজন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলায়।

সুজন চন্দ্র জানান, শিবিরের প্যানেলে আসার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল তাদের আদর্শ ও নীতিবোধ। এই দুটো জিনিস তাকে সবসময় আকর্ষণ করেছে। ছাত্রশিবির সবসময় মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষাবান্ধব কার্যক্রম এগিয়ে নেয় সংগঠনটি। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। এ কারণে তাদের প্রতি তিনি চিরকৃতজ্ঞ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট। ২৩টি পদের মধ্যে ২০টিতেই তারা নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। শুধু তিনটি পদ সাধারণ সম্পাদক (জিএস), ক্রীড়া সম্পাদক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক হাতছাড়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ১৭ হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেন। দিনভর পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষ হয়। সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনা শুরু হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারী হল দিয়ে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়।

রাকসু নির্বাচনে ১০টি প্যানেলসহ রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭ জন, হল সংসদে ১৫ পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন আর ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে ছয়টি নারী হলে ভোট পড়ার হার ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।