মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ছোটলিখা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. উছমান আলীকে (৫৮) ছুরি দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মো. হায়দার আহমদ (১৭) নামে এক কিশোরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক থানায় মামলা করেন। অভিযুক্ত হায়দার জামকান্দি (কুলাউড়া) গ্রামের সামছুল ইসলামের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নবম শ্রেণির কৃষি শিক্ষার ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়। এ সময় রাশেদ আহমদ সজিব নামের এক শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢোকার চেষ্টা করলে প্রধান শিক্ষক মোবাইলটি জব্দ করে সহকারী প্রধান শিক্ষক অজয় চন্দ্র দাসের কাছে জমা দেন।
প্রাক্তন ছাত্র হায়দার আহমদ ‘বন্ধু’ পরিচয় দিয়ে মোবাইলটি ফেরত দিতে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে আসে। প্রধান শিক্ষক তাকে ধমক দিয়ে বের হয়ে যেতে বলেন। উত্তেজিত হায়দার কোমরে লুকানো একটি বড় ছুরি বের করে প্রধান শিক্ষকের বুকে আঘাত করার চেষ্টা করে। শিক্ষক দ্রুত সরায় আঘাতটি ব্যর্থ হয়।
এই সময় অফিস সহায়ক সুমন আহমদ এগিয়ে গেলে হায়দার ছুরি দিয়ে তাকেও আঘাত করার চেষ্টা করে। পরে উপস্থিত শিক্ষক ও কর্মচারীরা ধাওয়া করে হায়দারকে আটক করেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গালিব চৌধুরী ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে পুলিশ এসে হায়দারকে আটক করে।
বড়লেখা থানার ওসি মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মোল্লা জানান, ‘প্রধান শিক্ষককে ছুরি দিয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় হায়দার আহমদকে আটক ও ছুরি জব্দ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক থানায় মামলা করেছেন। আসামিকে বৃহস্পতিবার কোর্টে প্রেরণ করা হবে।’

-20251203221210.webp)

