ঢাকা শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

খাল ভরাট করে ব্যবসা প্রশাসন নির্বিকার

দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ০২:৪৬ এএম

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় অন্তত ১০টি সরকারি রেকর্ডীয় খাল ভরাট ও বেদখলের মুখে পড়েছে। কৃষিনির্ভর এ জনপদের প্রাণভোমরা খালগুলো দখলে নিয়ে কেউ গড়ে তুলছেন দোকানপাট, কেউ বাড়াচ্ছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিসর। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের একাধিকবার নোটিশ ও অভিযান শুরু হলেও তা অজ্ঞাত কারণে থেমে গেছে। ফলে দিন দিন সংকুচিত হয়ে আসছে সেচের খালগুলো।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, উপজেলার পিরতলা বাজার, আংগারিয়া, শ্রীরামপুর, মুন্সিরহাট, কচ্ছপিয়া, গোদার খাল, মুরাদিয়া বোর্ড অফিস বাজারসহ অন্তত ১০টি সরকারি খাল দখলের শিকার। পিরতলা বাজারসংলগ্ন খালটি প্রায় পুরোটাই দোকান ঘর নির্মাণ করে দখল করে নিয়েছে স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি।
দুমকি সাতানী মৌজার ৪৩৭ নম্বর দাগের খালটি ভরাট হওয়ায় কুটুরাকান্দা, আঠারগাছিয়া এলাকার শত শত হেক্টর ফসলি জমির সেচব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অন্যদিকে জামলা খালটি ওয়াপদা ভেড়িবাঁধ ও ডানিডা সড়কের নির্মাণকাজের কারণে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, দখলদাররা দিনের বেলায় কাজ বন্ধ রাখলেও রাতের আঁধারে দোকানপাট নির্মাণ শেষ করে ফেলছে। একসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হলেও সেটি বেশি দিন টেকেনি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি খাল দখল করে দাপটের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের বাধা দেওয়ার সাহস পায় না সাধারণ মানুষ।
এমন অবস্থায় একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান, এলাকার কৃষকেরা। তারা বলেন, খাল না থাকলে আমন ও রবি মৌসুমে জমিতে পানির তীব্র সংকট দেখা দেবে। এতে বছরের পর বছর ফসলহানিতে পড়তে হচ্ছে।

এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুজর মো. ইজাজুল হক বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে কোনো তথ্য আমার জানা নেই। ফাইল দেখতে হবে। নতুন করে অবৈধ দখল চিহ্নিত করা হয়নি। তবে জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে মৌখিকভাবে আলোচনা হয়েছে। নির্দেশনা পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’