ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে রহড়া থানা পুলিশ। গ্রেপ্তাররা সবাই নিজেদের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন মজনু গাজী, মোহাম্মদ কামাল শেখ ওরফে ইদ্রিস আলী ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান ওরফে মিলন। পাঁচ দিন আগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার (১৮ মে) তাঁদের তিনজনকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, প্রাণ রক্ষার জন্য তারা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।
মজনু গাজীর বয়স ৫২ বছর, তিনি খুলনার দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দা। ৪০ বছর বয়সী কামাল শেখের বাড়ি খুলনার বেতকাশি এলাকায়। মেহেদী হাসানের বিস্তারিত পরিচয় পুলিশ প্রকাশ করেনি। জানা গেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা হলেও পাঁচ দিন ধরে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছিল।
প্রথমে রহড়া এলাকা থেকে মজনু গাজী ও কামাল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তীতে কলকাতার নিউটাউনের লস্করপাড়া এলাকা থেকে মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে। রোববার (১৮ মে) তাদের ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে হাজির করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কামাল শেখ নিজেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেন। একই দাবি করেছেন বাকি দুজনও।
কামাল শেখ পুলিশকে বলেছেন, ‘আমি সেখানে (বাংলাদেশে) ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য সচিব ছিলাম। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। এরপর ৮ আগস্ট প্রাণ রক্ষার্থে সীমান্ত অতিক্রম করে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করি এবং রহড়া থানার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করি। ’