শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম

সংস্কৃতির ভেতরেই রাজনীতির সৃজনশীলতা নিহিত: দুদু

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম

কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, রাজনীতির সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ রূপ হচ্ছে সংস্কৃতি। সংস্কৃতির ভেতরেই দেশের জীবনব্যবস্থা, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সম্পূর্ণ প্রতিফলন ঘটে।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুরাগ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজিত আলোচনা, সম্মাননা প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

দুদু বলেন, শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি বরং পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। ঠিক সেই সময় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই থেমে থাকেননি, নয় মাস রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন। শত শহীদের মতো তিনিও শহীদ হতে পারতেন কিন্তু আল্লাহ তাকে জীবিত রেখেছিলেন। তিনি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে আবার তিনি তার পেশায় চলে গিয়েছিলেন রাজনীতিতে আসেননি। নানা বিবর্তনের মধ্যে একসময় সিপাহী এবং জনতা ৭ই নভেম্বরে তাকে আবার সামনে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি দেশের হাল ধরেন। তার রাজনৈতিক আদর্শ ও ত্যাগ আজও বাংলাদেশের মানুষকে প্রেরণা দেয়।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান মানুষের হৃদয়ের মধ্যে যে গভীরতার স্থান অর্জন করেছিলেন। তার স্ত্রী ও সহধর্মিণী পরবর্তীতে আপসহীন নেত্রী হিসেবে শুধু জাতির কাছেই নয়, সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়া। এই কারণেই আমরা তাকে (বেগম জিয়া) আপসহীন বলি। শত নির্যাতন, শত হামলা-মামলা কোনোটাই তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। “এরশাদকে যেতে হবে”—এই প্রতিশ্রুতি তিনি জাতিকে দিয়েছিলেন এবং তা পালন করেছিলেন। ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই এরশাদকে বিদায় করা হয়েছিল।

সাবেক এ সংসদ সদস্য বলেন, বিএনপির অ্যাক্টিং চেয়ারপার্সন যিনি ১৬ বছর ধরে হাসিনার নির্যাতন, স্বৈরাচার; গুম-খুন, গণহত্যা ও লুটপাটের কাল অতিক্রম করতে চেয়েছেন। হাসিনার স্বৈরশাসন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে শয়তানও হয়তো তার তুলনায় কম ভয়ঙ্কর মনে হয়। তাকে বিদায় করার অন্যতম নেতৃত্ব দিয়েছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান।

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, একটি পরিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ থেকে স্বৈরাচার উৎখাত পর্যন্ত দুটি গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে, আরেকটি পরিবার পরিচিত হয়েছে ব্যাংক ডাকাত হিসেবে। শেখ হাসিনা প্রথম ব্যাংক ডাকাত নন, তার পরিবারের একজন মুজিবের জীবদ্দশায়ই এক বিখ্যাত ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই ঘটনা শুধু দেশবাসী নয়, সারা বিশ্ব জানে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন, গুম-খুন, দমন-পীড়ন ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে অচল অবস্থায় নিয়ে গেছেন। এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একটি “স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন” জরুরি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনুরাগ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা মতিহার। এ সময় বিএনপির সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি শামীম মাহমুদ, অভিনেতা এ বি এম সোহেল রশিদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রুবিনা আলমগীর, কবি ও সাংবাদিক আকাশমনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!