ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

আফ্রিদিকে নিয়ে ‘ভয়ংকর’ বর্ণনা দিলেন তানভীর রাহী

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৭, ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
কনটেন্ট ক্রিয়েটর তানভীর রাহী ও তৌহিদ আফ্রিদি। ছবি- সংগৃহীত

গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির বিষয়ে বেরিয়ে আসছে একের পর এক ভয়াবহ তথ্য। তার অপকর্মের কথা প্রকাশ করতে শুরু করেছেন কাছের বন্ধুরাও।

তৌহিদ আফ্রিদির তেমনি একজন বন্ধু কনটেন্ট ক্রিয়েটর তানভীর রাহী। বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে আফ্রিদির বিষয়ে ভয়ংকর কিছু তথ্য দিয়েছেন তিনি।

রাহীর দেওয়া সেই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে রাহীকে বলতে দেখা গেছে, আফ্রিদিকে বাঘের মতো ভয় পেতেন তিনি।

রাহী বলেন, সে একেবারে অন্যরকম একজন মানুষ। ক্যামেরার ভেতরে এক রকম আর বাইরে আরেক রকম। আমি বলব, ক্যামেরার বাইরে সে ‘ভয়ংকর’ একটা লোক।

রাহী আরও বলেন, ইউটিউব ইন্ডাস্ট্রিতে আফ্রিদিকে সবাই বাঘের মতো ভয় পায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেকে তার বিপক্ষে চলে গিয়েছিলাম। সে সময় তার বেল্টের বাড়ি আমার থেকে কেউ বেশি খায়নি। রাগ উঠলে বেল্ট খুলে ও আমাদের কুত্তার মতো পেটাত।

পুরোনো স্মৃতি মনে করে এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, যখন ওর মনে হয় কেউ তার বিরুদ্ধে কাজ করছে তখন ফোন দেয়। এরপর তার ক্ষমতা তাকে দেখিয়ে দেয়। আন্দোলনের দুই-তিন মাস পরে একদিন রাতে আমাকে ভিডিও কল দেয় আফ্রিদি।

সেদিনের কথা বর্ণনা করে রাহী বলেন, দুশ্চিন্তায় আমার তলপেটে কামড় দিতে শুরু করে। ফোন করে কী বলবে তা শোনার জন্য কল ধরি। আমি ফোন ধরার পর আফ্রিদি বলে ‘তোর সাথে একজনের কথা বলিয়ে দিচ্ছি’। সে কিন্তু শিগগিরই দেশের বড় মাপের কেউ হবেন, প্রধানমন্ত্রী বা ভালো একটা পদে যাবে। এরপর ভিপি নূরের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়ার পর ও বলে- বুঝেছিস আমার অবস্থানটা। সাবধানে থাকিস।

সবশেষে রাহী বলেন, ৫ আগস্টের পরও দেশে ভালোই ছিল আফ্রিদি। আমরাও চেয়েছিলাম সে তার মতো থাকুক আর আমরা আমাদের মতো থাকি। কিন্তু তা হয়নি। তার মনুষ্যত্ব নেই, সে শুধু জানে প্রতিশোধ। কারে কারে ধরবে, কারে কারে মারবে; মনের ভেতরে এসব হারামি চিন্তা-ভাবনা থাকলে আল্লাহ কখনো তাকে ছাড় দেয় না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলায়  আসামি তৌহিদ আফ্রিদি রোববার (২৪ আগস্ট) রাতে বরিশাল মহানগরের বাংলাবাজার এলাকায় সিআইডির বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার হন। মামলায় ১১ নম্বর আসামি তিনি।

এ মামলায় প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই নম্বর আসামি সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং তিন নম্বরে রয়েছেন পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন। মামলায় ২২ নম্বর আসামি তৌহিদ আফ্রিদির বাবা মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সাথী, তাকে গত ১৭ আগস্ট ঢাকা মহানগর পুলিশ গ্রেপ্তার করে।