ঢাকা বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

বিয়ের আগে ছেলে-মেয়ের যেসব টেস্ট করা জরুরি

লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০৯:৪৫ পিএম
ছবি - সংগৃহীত

বিয়ের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো না হলে ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হবু বর-কনার স্বাস্থ্য পরীক্ষা জীবন এবং সন্তানের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

১. হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস

এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় বর বা কনে থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত কি না, অথবা রোগের বাহক কি না। যদি উভয়েই এই রোগের বাহক হন, তবে তাদের সন্তান থ্যালাসেমিয়ার মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিবাহ পরামর্শ ও সতর্কতা নেওয়া জরুরি।

২. ব্লাড গ্রুপ ও আরএইচ টাইপিং

হবু বর-কনের রক্তের গ্রুপ সাধারণত সন্তানের জন্য নিরাপদ। তবে রেসাস বা আরএইচ ফ্যাক্টরের পার্থক্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি মা আরএইচ নেগেটিভ এবং বাবা আরএইচ পজিটিভ হন, তবে সন্তান গর্ভের মধ্যে “ইরাইথ্রোব্লাস্টোসিস ফিটালিস” নামে প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হতে পারে। প্রথমবার গর্ভধারণের সময় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করলে সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব।

৩. যৌনবাহিত রোগ শনাক্তকরণ

এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়া, হেপাটাইটিস বি ও সি ইত্যাদি রোগ স্বামী-স্ত্রীর যৌন মিলনের মাধ্যমে ছড়িয়ে যেতে পারে। বিয়ের আগে এই রোগ শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা করালে, হবু বর-কনে নিরাপদ থাকেন এবং পরবর্তী সময়ে সন্তানের সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব হয়।

৪. বন্ধ্যত্ব পরীক্ষা

বন্ধ্যত্ব সমস্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বিয়ের আগে উভয়েরই বন্ধ্যত্ব পরীক্ষা করা উচিত। পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর স্বাস্থ্য ও সংখ্যা পরীক্ষা এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে পেলভিক আলট্রাসনোগ্রাফি ও হরমোন পরীক্ষা, যেমন থাইরয়েড উদ্দীপক হরমোন (টিএসএইচ), প্রলেকটিন, টেস্টোস্টেরন, এফএসএইচ ও এলএইচ পরীক্ষা করানো যেতে পারে।

৫. বংশগত রোগের পরীক্ষা

বংশগত রোগ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই নিকটাত্মীয় বা পরিবারের ইতিহাস অনুযায়ী বিয়ের আগে বংশগত রোগ পরীক্ষা করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৬. ক্রনিক রোগ স্ক্রিনিং

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড সমস্যা ইত্যাদি রোগের পরীক্ষা করিয়ে জানা উচিত কারা আক্রান্ত। এই রোগের তথ্য জানা থাকলে, ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

৭. মানসিক রোগ পরীক্ষা

বিয়ে মানসিক রোগের সমাধান নয়। সিজোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন, বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার ইত্যাদি রোগ বিয়ের আগে শনাক্ত ও চিকিৎসা করানো উচিত। মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া স্বাস্থ্যসম্মত বিবাহ নিশ্চিত করে।