হবিগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের ৫ নম্বর কূপে ওয়ার্কওভার কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এই কূপ থেকে দৈনিক প্রায় ২৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ শুরু হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএফসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন, কোম্পানির মহাব্যবস্থাপকগণ, প্রকল্প পরিচালক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।
ওয়ার্কওভার কাজটি সম্পন্ন করতে ব্যবহার করা হয়েছে বাপেক্সের ‘বিজয়-১১’ রিগ। এর আগে এই কূপ থেকে দৈনিক গড়ে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হতো। তবে অতিরিক্ত পানি ও বালু ওঠার কারণে উৎপাদন প্রায়ই ব্যাহত হতো। নতুন ওয়ার্কওভারের পর কূপটি ড্রাই গ্যাস সরবরাহে সক্ষম হয়েছে, ফলে উৎপাদন প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ২৬ মিলিয়ন ঘনফুটে পৌঁছেছে।
বিজিএফসিএল জানিয়েছে, ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সিলেট গ্যাস ফিল্ডের কৈলাসটিলা-১ কূপের ওয়ার্কওভারও বাপেক্স সম্পন্ন করবে। এই কূপ থেকে দৈনিক আরও প্রায় ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
চলতি ডিসেম্বর মাসে আরও তিনটি কূপ—সিলেট-১০ এক্স, সিলেট-১১ এবং শ্রীকাইল-৫—খনন ও আপগ্রেডের কাজ শেষ হবে। এ ছাড়া আগামী জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ানীবাজার-২ ও সেমুতাং-৬ কূপেরও ওয়ার্কওভার সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে। এই সমস্ত কাজের সমাপ্তির পর জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে, যা শিল্প ও জনজীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিজিএফসিএল জানিয়েছে, গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প খাত এবং জনজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব দেখা দেবে। বিশেষ করে, শীতকালে বাড়তি গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো নিয়মিতভাবে কাজ করতে পারবে এবং গৃহস্থালির রান্না ও হিটিং ব্যবস্থাও সুষ্ঠুভাবে চলবে।
এ ছাড়া, দেশের গ্যাস খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এই ধরনের ওয়ার্কওভার প্রকল্পগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও কূপ যুক্ত হলে জাতীয় গ্রিডের গ্যাস সরবরাহ আরও দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য হবে।
