বাংলাদেশের জনপ্রিয় সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর অঙ্গ সংগঠন দূর্বার তারুণ্য ব্লাড সোসাইটি। অঙ্গ সংগঠনটি রক্তদান ও রক্তবাহী নানান রোগের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে।
২০২০ সালে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০২১ সালের ২২ শে আনুষ্ঠানিকভাবে দূর্বার তারুণ্য ব্লাড সোসাইটির কার্যক্রম উদ্ভোধন করেন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ।
দূর্বার তারুণ্য ব্লাড সোসাইটি এর তত্ত্বাবধানে এ পর্যন্ত ১১’শ এর অধিক মানুষকে বিনামূল্যে রক্তদান করা হয়েছে। দিন রাত ২৪ ঘন্টা রক্তের প্রয়োজন হলেই সমন্বয়ের কাজটি করেন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু আদিল।
তিনিই এই ব্লাড সোসাইটির প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দূর্বার তারুণ্য ব্লাড সোসাইটির সবচেয়ে ভিন্নধর্মী বৈশিষ্ট্য হল, বিনামূল্যে রক্ত জোগার করে দিতে না পারলে, আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষদের ব্লাড ব্যাংক থেকে নিজস্ব অর্থায়নে রক্ত কিনে ব্যবস্থা করে দেয়।
দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দূর্বার তারুণ্য ব্লাড সোসাইটির প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ আবু আদিল বলেন, আমি চার বছর ধরে কাজ করছি দূর্বার তারুণ্য ব্লাড সোসাইটিতে।
বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এই সময়টাতে। রক্ত যারা দিতে যায় তাদেরকে ভাড়া অবশ্যই দিয়ে দিবেন।এটা অনেকেই দেয় না। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো,আপনারা রক্তদানে এগিয়ে আসুন।
দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, রক্তদানে আমাদের সকলেরই আগ্রহী হওয়া উচিৎ। রক্ত কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা যখন নিজেদের প্রয়োজন হয়, তখনই বোঝা যায়। রক্ত দানের বিষয়ে মানুষের মনে রাখা উচিৎ , যেকোন সময় যে কারও রক্তের প্রয়োজন হতে পারে।
তাই আজ যদি আপনি সামান্য সময় অথবা একটু ভয়ের কারণে রক্ত দিতে পিছপা হন, তাহলে কিন্তু আপনার সাথে সেইম ঘটনাই ঘটতে পারে। মনে রাখবেন , আপনার রক্তের বিনিময়েই বেঁচে যেতে পারে, একটি প্রাণ।
দূর্বার তারুণ্য ব্লাড সোসাইটির কার্যক্রমে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করেন প্রতিটি সামাজিক সংগঠন এর ব্লাড সোসাইটি থাকা উচিৎ।
কেননা সামাজিক সংগঠনের কার্যক্রমের ফলে অনেক মানুষের সাথেই স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক্ষেত্রে রক্ত ব্যবস্থা করা একটি সহজলভ্য কাজে পরিণত হয়।