সরকারি চাকরিতে বিপুলসংখ্যক পদ শূন্য রয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রকাশিত সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান-২০২৪ এ তথ্য উঠে এসেছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১১১টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৮৯১ জন। অর্থাৎ ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২২০টি পদ শূন্য পড়ে রয়েছে, যা মোট অনুমোদিত পদের ২৪ দশমিক ৪০ শতাংশ প্রায় এক-চতুর্থাংশ।
বাংলাদেশে প্রতিবছর লক্ষাধিক শিক্ষিত তরুণ-তরুণী চাকরির বাজারে প্রবেশ করছেন। বিসিএস, ব্যাংক, নন-ক্যাডার ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরিতে এত বিপুলসংখ্যক পদ বছরের পর বছর শূন্য থাকা বেকার তরুণদের জন্য উদ্বেগজনক।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পূর্ববর্তী তথ্য বিশ্লেষণেও দেখা যায়, এই শূন্যপদের চিত্র নতুন নয়। ২০২২ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তখনও অনুমোদিত পদের প্রায় ২৬ শতাংশ (প্রায় ৫ লাখ) শূন্য ছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক কাঠামোয় দক্ষ জনবল না থাকায় নানা দপ্তরে সেবা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন নিয়োগ না হওয়ায় নতুন কর্মসংস্থানেও স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে।
সরকারি চাকরিতে এত বিপুলসংখ্যক পদ খালি থাকা এবং তা পূরণে কার্যকর উদ্যোগ না থাকাকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা, মামলাজট, অভ্যন্তরীণ সংকট এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ফল হিসেবে দেখছেন অনেকে।
তারা মনে করছেন, সময়মতো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পরীক্ষার দ্রুত আয়োজন ও ফলাফল প্রকাশ, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা—এসব কৌশলের মাধ্যমে এই সংকট অনেকটাই সমাধান করা সম্ভব।