ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

মাইক্রোওভেনে গরম করা খাবারে ভয়ানক রোগের সৃষ্টি!

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১১, ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
মাইক্রোওয়েভে খাবার গরম। ছবি- সংগৃহীত

আধুনিক যুগে সকলের জীবনধারা বদলে গিয়েছে। কর্মব্যস্ত জীবনে দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় বাইরে থাকতে হয়। ব্যস্ততার জন্য ছুটির দিন ছাড়া বাসায় রান্নার কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। এ কারণে অনেকে সপ্তাহের খাবার রান্না করে ফ্রিজে রেখে দেন এবং প্রয়োজন মতো তা বের করে গরম করে খেয়ে থাকেন। আর এই খাবার গরম করা হয়ে থাকে ইলেক্ট্রনিকস গ্যাজেটে অর্থাৎ মাইক্রোওয়েভ ওভেনে।

কিন্তু জানেন কি, নিয়মিত মাইক্রোওয়েভে রান্না করা খাবার গরম করে খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর?

স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিদদের মতে, মাইক্রোওয়েভে খাবার অসমভাবে গরম হওয়ায় অনেক সময় ক্ষতিকর জীবাণু সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয় না। এতে পেটের অসুখ, ফুড পয়জনিংসহ নানা ধরনের খাদ্যবাহিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষ করে আগে রান্না করা খাবার বারবার গরম করলে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, মাইক্রোওভেনে গরম করা খাবারে ভিটামিন বি-১২ অকার্যকর হয়ে পড়ে। খাবার গরম করার সময় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভিটামিন বি-১২ নষ্ট হয়ে যায়। দুধ ও মাংসজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-১২ থাকে। এসব খাবার মাইক্রোওভেনে গরম করার পর খাদ্যগুণ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।

এ ছাড়া খাবার গরম করার পর কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক তৈরি হয় যেমন- বেঞ্জিন, জালান। এসব উপাদান খাবারের সঙ্গে শরীরে প্রবেশের পর ক্যান্সারের মতো ভয়ানক রোগ তৈরি হতে পারে।

সবচেয়ে বড় ঝুঁকির বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে প্লাস্টিকের পাত্র ব্যবহার। অনেকেই প্লাস্টিকের বক্স বা প্যাকেটসহ খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করেন। এতে প্লাস্টিক থেকে নির্গত বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান খাবারের সঙ্গে মিশে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। দীর্ঘদিন এই অভ্যাস বজায় থাকলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, লিভার ও কিডনির জটিলতার পাশাপাশি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

বিশেষ করে ওভেনে ডিম, দুধ, মাংস, মাশরুমজাতীয় খাবার গরম করে খাওয়া মারাত্মক ক্ষতিকর।

তবে মাইক্রোওয়েভে খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়, কথাটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। এতে ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি বিষয় মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে, গ্লাস বা সিরামিকের পাত্র ব্যবহার করা, মাইক্রোওয়েভ-সেফ চিহ্নিত পাত্র ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার না করা, খাবার একাধিকবার গরম না করা এবং গরম করার সময় খাবার নেড়ে সমানভাবে গরম হওয়া নিশ্চিত করা।

সূত্র : কলকাতা ২৪, কন্টিনেন্টাল হসপিটাল