রাজস্থানের যোধপুর থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ১৫৩ জনকে পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে এসেছে ভারতের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
এদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানানো হয়েছে। তবে এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ও মানবাধিকার বিতর্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, রাজস্থানে সম্প্রতি মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যদের ‘বাংলাদেশি’ বলে চিহ্নিত করে আটক করা হচ্ছে।
এই ঘটনাগুলো আদালতের নজরে এলে রাজস্থান সরকারকে নোটিশ পাঠায় ভারতের হাইকোর্ট। এরপর গত বুধবার যোধপুর থেকে আটক ব্যক্তিদের পশ্চিমবঙ্গে আনা হয়।
রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এক কর্মকর্তা জানান, জয়পুর, আজমির এবং শিকার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে এসব ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের অস্থায়ী কেন্দ্রগুলোতে রাখা হয়েছে এবং এখন তাদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গে বিএসএফ বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় করছে।
এর আগে আরও ১৪৮ জনকে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় আনা হয়েছিল। রাজস্থানে এখন পর্যন্ত ১,০০৮ জনকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করা হয়েছে এবং ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন আটক কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে এসব অভিযানে ভারতীয় নাগরিকদেরও আটকের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে পাঁচটি পিটিশন দায়ের করা হয়। গত মঙ্গলবার ওইসব মামলার শুনানিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রাজস্থান সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ জারি করে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বিষয়টিকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছে। তারা বলছে, জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে লোকজনকে আটক করা হলে তা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতিমালার লঙ্ঘন।
তবে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।