কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামু অংশে মাত্র দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পৃথক তিনটি ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নারী, পুরুষ ও শিশুসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরের দিকে রামুর জোয়ারিয়ানালা মুরাপাড়া, গুচ্ছগ্রাম এবং রশিদনগর এলাকায় বৃষ্টিতে পিচ্ছিল হওয়া সড়কে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
রামু ক্রসিং হাইওয়ে থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিন জানান, মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও বৃষ্টির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। পৃথক তিনটি স্থানে হানিফ-সৌদিয়া, সৌদিয়া-মারসা এবং বাস-সিএনজির সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে ৪০ থেকে ৫০ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তবে হতাহতের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয়রা যৌথভাবে আহতদের উদ্ধার করেছে।
ওসি আরও জানান, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন সরিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি—মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করা হোক। সম্প্রতি সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে অন্তত ৪০টি সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন একযোগে কর্মসূচি পালন করেছে।
গত ২ এপ্রিল একই মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১১ জন নিহত হন।
স্থানীয়দের দাবি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা, অপরিকল্পিত যানবাহন চলাচল এবং অপ্রশস্ত মহাসড়কই এই দুর্ঘটনাগুলোর মূল কারণ। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান আরও ভয়াবহ আকার নিতে পারে।