ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় এক প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি একরামুল মুন্সি (৪৮) ভুট্টাখেতে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় একটি সালিশে মাত্র ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ‘মীমাংসা’ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাতোর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকতার হোসেনের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের ভেদালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, একরামুল মুন্সি তাকে ১০০ টাকার প্রলোভন দিয়ে ভুট্টাখেতে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। তরুণী চিৎকার করলে একরামুল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরদিন বুধবার রাতে স্থানীয় বিএনপি নেতা আকতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি সালিশ বসে। সালিশে অভিযুক্ত একরামুলকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তরুণীর পরিবারকে দুটি ছাগল কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তরুণীর বাবা জানান, ঘটনার পর সুবিচারের আশায় তিনি ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলা করতে গেলে আকতার হোসেনের ভাই তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। ওই রাতেই আবার সালিশ বসিয়ে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে আপস করতে বাধ্য করা হয় তাঁদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিএনপি নেতাসহ কয়েকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অভিযুক্তের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।
অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, একজন প্রতিবন্ধী তরুণীর সঙ্গে এমন জঘন্য অপরাধের ন্যায়বিচার না করে সালিশে টাকা দিয়ে রফা করে ফেলা হয়েছে।
সালিশে সভাপতিত্ব করা আকতার হোসেন ঘটনার সত্যতা আংশিক স্বীকার করে বলেন, ‘মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে—এমন কিছু জানি না। শুধু হাত ধরেছিল, তাই মীমাংসা করে দিয়েছি।’
তবে পরদিন তরুণীর বাবাকে আদালত থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’