পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দপ্তরের মহাপরিচালক (আইএসপিআর) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দাবি করেছেন, ‘ভারত রাষ্ট্রীয়ভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে আসছে এবং এর সর্বশেষ উদাহরণ হলো বেলুচিস্তানের খুজদারে ২১ মে স্কুলবাসে হামলা।’
ইসলামাবাদে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বক্তব্য দেন। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র সচিব ক্যাপ্টেন (অব.) খুররম মোহাম্মদ আগা।
বুধবার (২১ মে) সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সে হামলায় ছয় শিশু নিহত এবং ৩১ জন আহত হন।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এটি শুধু একটি বাস নয়, বরং আমাদের সমাজ, মূল্যবোধ ও শিক্ষাব্যবস্থার ওপর আঘাত। হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারকে গভীর সমবেদনা জানাই। আমরা তাদের পাশে আছি।’
তিনি জানান, হামলার প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে, এটি ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা র-এর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় পরিচালিত ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ নামের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাজ। একই গোষ্ঠী অতীতেও নির্মাণ শ্রমিক, উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মী ও সফট টার্গেটদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।
আইএসপিআর ডিজি বলেন, ‘২০০৯ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে একটি ডোজিয়ার দেওয়া হয়েছিল, যেখানে ভারতের সন্ত্রাসে জড়িত থাকার অখণ্ড প্রমাণ ছিল। ২০১৬ সালে কুলভূষণ যাদবের ঘটনা ছিল ভারতের সন্ত্রাসের নগ্ন চেহারা। ২০১৯ সালে জাতিসংঘেও এই বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ডোজিয়ার উপস্থাপন করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগেভাগেই হামলার পূর্বাভাস দিচ্ছে-যেমনটা দেখা গেছে চীনা রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলা এবং জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের সময় ‘
‘এসব র-সম্পৃক্ত অ্যাকাউন্ট থেকে বিএলএ ও ফিতনা আল হিন্দুস্তানের পক্ষে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। ভারতের মিডিয়াও এই হামলাগুলোকে উদযাপন করছে, যা চূড়ান্ত অনৈতিক।’
ডিজি আইএসপিআর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বেলুচ পরিচয়ের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা ভারতের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত। পাকিস্তানের জনগণ, বিশেষ করে বেলুচিস্তানের জনগণ এই ষড়যন্ত্র প্রত্যাখ্যান করেছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘পাকিস্তান একটি ইস্পাতবর্ম, যেটি ৬ ও ৭ মে ভারতীয় হামলার সময়ও একত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ঐক্যই আমাদের শক্তি এবং আমরা এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সক্ষম। আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে দৃঢ়, জবাব হবে চূড়ান্ত।’
সূত্র : ডন