ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্স-এ অনুষ্ঠিত হলো ‘জুলাই স্মরণ অনুষ্ঠান ২০২৫’। ‘শিকল-পরা ছল’ শিরোনামে এই আয়োজন ছিল ২০২৪ সালের ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’-এ অংশ নেওয়া সাহসী শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাতে একটি বিশেষ উদ্যোগ।
বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার ও রেজিস্ট্রার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী খন্দকার (অব.), সিনিয়র অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর এসএম নাহিদুল ইসলাম, অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর শেখ বুলান্দ তাসলিম ও অতিরিক্ত পরিচালক এইচএম আতিফ ওয়াফিক।
ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ওসমান গনি হাদী বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের দাবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবাদ। শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই পরিবর্তন সম্ভব হতো না।’
অনুষ্ঠানে আন্দোলনে আহত ও সরাসরি অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তাদের মধ্যে ছিলেন- সিএসই বিভাগের গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান মো. রইচ উদ্দিন, একই বিভাগের এক চোখ হারানো শিক্ষার্থী মো. তানভির হাসান রিয়াদ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. হান্নান ও বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান ঈশা।
তাদের বক্তব্যে আন্দোলনের বাস্তব চিত্র ও কষ্টের অভিজ্ঞতা উঠে আসে, যা উপস্থিত সবাইকে আবেগাপ্লুত করে।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই সাহসিকতা আমাদের গর্বের অংশ। এই আন্দোলনের স্মৃতি আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
ট্রেজারার ক্যাপ্টেন মোবাশ্বের আলী বলেন, ‘আহত শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের গভীর সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা রইল। আমরা তাদের ভবিষ্যতের সফলতা কামনা করি।’
এইচএম আতিফ ওয়াফিক বলেন, ‘তাদের আত্মত্যাগ ভুলে যাওয়া যাবে না। আমি সেই সময়ে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি।’
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ ও এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স) মো. আবুল বাশার এবং সঞ্চালনা করেন বিবিএ শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান ঈশা। এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনা ও অধিকার সচেতনতা আরও জোরালো করেছে বলে মত দিয়েছেন আয়োজকরা।