ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজকে নিয়ে প্রস্তাবিত ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’-এর অধীনে অবশেষে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরুর অনুমোদন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ফলে শিক্ষার্থীরা এবার থেকে পৃথক ও স্বতন্ত্র একাডেমিক কাঠামোর অধীনে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা গত ৯ জুলাই এ অনুমোদন প্রদান করে। সিনিয়র সহকারী সচিব এ. এস. এম. কাশেমের সই করা স্মারকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ৭ জুলাইয়ের একটি স্মারকের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন শিক্ষাবর্ষ ২০২৪-২৫-এর ভর্তি কার্যক্রম এই নতুন কাঠামোর অধীনেই সম্পন্ন হবে। ভর্তি পদ্ধতি, যোগ্যতা ও সময়সূচি ইউজিসি ও সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোর ওয়েবসাইটে শিগগিরই প্রকাশ করা হবে।
২০১৭ সালে এই সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল, উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে একটি একাডেমিক মান বজায় রাখা।
তবে বাস্তবে এর বিপরীত চিত্র দেখা যায়—পরীক্ষার ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতা, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের অনিয়ম, প্রশাসনিক জটিলতা ও দায়সারা মনোভাব, শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও বেকারত্ব সমস্যা।
এমন পরিস্থিতিতে কলেজগুলোর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে দীর্ঘদিন ধরেই ঢাবি থেকে আলাদা হয়ে একটি স্বতন্ত্র ব্যবস্থাপনা কাঠামোর দাবি উঠছিল। এই দাবি মেনে নিয়েই ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’-এর মতো বিকল্প কাঠামো প্রস্তাব করা হয়।
তবে সাত কলেজকে নিয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ গঠনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, সাত কলেজ থেকে তিতুমীরকে আলাদা করে স্বতন্ত্র কাঠামো গঠনের মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে হবে।
উল্লেখ্য, সাতটি সরকারি কলেজ হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, , বাংলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ এবং সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ।