বাংলাদেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পে ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
দুদকের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত তলবি নোটিশটি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি ও গোপালগঞ্জের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
একই অভিযোগে ওই দিন তলব করা হয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও সাবেক সচিব মোকাম্মেল হোসেনকেও।
দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে হাজির না হলে অভিযুক্তরা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারাবেন।
২০২৫ সালের ২৭ জানুয়ারি বিমানবন্দর প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সামরিক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করে দুদক।
মামলায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সাবেক চেয়ারম্যান এম মফিদুর রহমান ও মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মুহিবুল হককেও আসামি করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর তিনি ভারতে চলে যান। তাঁর বেশির ভাগ ঘনিষ্ঠ নেতা এখন আত্মগোপনে থাকলেও কয়েজ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এদিকে, আন্দোলন দমনে আওয়ামী সরকারের আগের ভূমিকা ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এরই মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
গত ২৩ ডিসেম্বর ভারত সরকারকে এক কূটনৈতিক বার্তায় শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যদিও এখন পর্যন্ত ভারত এর কোনো জবাব দেয়নি।
৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনের সময় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়ে কথা বলেন।
এক সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে-বাংলাদেশে ফেরত এলে অথবা অনুপস্থিতিতেই।’
আপনার মতামত লিখুন :