ঢাকা শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

আ. লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে উপদেষ্টাদের মধ্যে দ্বিমত নেই : আসিফ নজরুল

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি-সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। এর মধ্যেই কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিরোধিতা করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তবে বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন তিনি নিজেই। বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের প্রশ্নে উপদেষ্টাদের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই।’

শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। 

ওই পোস্টে আসিফ নজরুল লেখেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণের সুযোগ রাখার লক্ষ্যে আইসিটি আইনে সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান আইন মন্ত্রণালয়ের খসড়ায় ছিল। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমি নিজে এটা উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপন করেছি। আমার উত্থাপিত খসড়ার আমিই বিরোধিতা করব, এটা কীভাবে সম্ভব?’

 

তিনি লেখেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কোন উপদেষ্টা কী ভূমিকা রেখেছেন, এ নিয়ে আমাকে, ছাত্র উপদেষ্টাদের বা অন্য কাউকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয় তার দায়-দায়িত্ব আমাদের প্রতিটি উপদেষ্টার।’

‘আমাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশ্নে কোনো দ্বিমত নেই। তবে পদ্ধতি নিয়ে সবার নিজস্ব মত থাকতেই পারে।’

রায় আসলে দ্রুত আ. লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে

তিনি আরও লেখেন, ‘আমাদের এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে, আইসিটি আইন চাইলেই আমরা কয়েক দিনের মধ্যে সংশোধন করতে পারব। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সন্ত্রাস দমন আইনসহ অন্য আইনগুলোও আছে। কাজেই আইন কোনো সমস্যা না।’

‘রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ চাইলে বা বিচারিক আদালত এ সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ বা রায় আসলে অবশ্যই আইনানুগভাবে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে। আমরা সেই প্রত্যাশায় আছি। ইনশাল্লাহ্।’

হামিদের বিদেশ গমনে বাধার দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত নয়

বিবৃতিতে আসিফ নজরুল অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ ‘জঘন্য মিথ্যোচার ও আক্রমণাত্নক বক্তব্য’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করছে।

 

‘আমি আপনাদের সুস্পষ্টভাবে জানাতে চাই খুনের মামলার আসামি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিদেশ গমনে বাধা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশ ও গোয়েন্দা এজেন্সিগুলোর, যা কোনোভাবেই আমার আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত বিষয় নয়।’

‘আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আছেন নিম্ন আদালতের বিচারকরা। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, আদালতের বিচারকদের দায়িত্ব বিমানবন্দর পাহারা দেওয়া না বা কারো চলাচলে বাধা দেওয়া না।’