টাঙ্গাইলের যমুনা সেতুর ওপর পরপর বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনায় পাঁচটি গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা এলাকা থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এর ফলে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী যাত্রী ও চালকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে, পুলিশ ও যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন যানজট নিরসনে কাজ করছেন।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ ও যমুনা সেতু পূর্ব থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৩ জুন) মধ্যরাতে মহাসড়কের সেতু পূর্ব থানা এলাকা, যমুনা সেতুর ওপর পরপর বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে।
ফলে মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত কয়েক দফায় টোল আদায় বন্ধ রাখা হয় এবং দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো সরাতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এ যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায়।
শনিবার (১৪ জুন) ভোর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত যমুনা সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা, গোল চত্বর, সেতু পূর্ব ইব্রাহীমাবাদ ও জোকারচর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়েছেন ঢাকাগামী যাত্রীরা। মাঝে মধ্যে থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করছে। তবে, বেলা ৮টার পর থেকে ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল শুরু করে।
গাইবান্ধা থেকে আসা ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের চালক ওমর ফারুক বলেন, যমুনা সেতুর ওপর ট্রাক-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে জোকারচর এলাকায় কমপক্ষে দেড় ঘণ্টা ধরে যানজটের মধ্যে পড়ে রয়েছি। গাড়ি চলছেই না। এতে করে বাসে থাকা যাত্রীরা, বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মোহাম্মদ শরীফ বলেন, দুর্ঘটনার কারণে যানবাহনের ব্যাপক চাপ রয়েছে এবং মহাসড়কে গাড়ির দীর্ঘদিন লাইন থাকলেও ধীরগতিতে চলাচল করছে। দ্রুতই যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
আপনার মতামত লিখুন :