২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান দমনে সংঘটিত সহিংসতা, হত্যা ও নিপীড়নের ঘটনায় দায়ের হওয়া সহস্রাধিক মামলার মধ্যে মাত্র ১২টির অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চার্জশিট দাখিল হওয়া মামলার মধ্যে তিনটি হত্যা মামলা এবং নয়টি অন্যান্য ধারার। তিনটি হত্যাকাণ্ডই ঘটেছে শেরপুর জেলায়।
অন্য নয়টি মামলার মধ্যে রয়েছে— ঢাকা মহানগর ও বরিশাল মহানগর পুলিশের একটি করে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি, সিরাজগঞ্জের দুটি এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দুটি মামলা।
বিজ্ঞপ্তিতে মোট মামলা সংখ্যা বা নির্দিষ্টভাবে কোন মামলার অভিযোগপত্র কবে দেওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে, যার মধ্যে চারটির অভিযোগপত্র দাখিল এবং দুটি মামলার বিচার কার্যক্রম শুরুর আদেশ হয়েছে। এর একটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসামি।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন পরিণত হয় সরকারবিরোধী গণআন্দোলনে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে, ৫ আগস্ট, শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনের অবসান ঘটে এবং তিনি ভারতে পালিয়ে যান।
আন্দোলনে সরকারি দমন-পীড়নের ফলে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে। সরকার নিজেই যে গেজেট প্রকাশ করেছে, তাতে শহীদ সংখ্যা ৮৩৪ জন। তবে জাতিসংঘের তদন্ত অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরকার পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, নির্যাতনসহ নানা অভিযোগে মামলা দায়ের হয়।
পুলিশ বলছে, এসব মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মিত তদারকি করছেন।