শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম

ওএইচসিএইচআর মিশনের লক্ষ্য মানবাধিকারের প্রসার ও সুরক্ষায় সহায়তা প্রদান

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছবি- সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছবি- সংগৃহীত

ওএইচসিএইচআর মিশন কার্যালয়ের মূল লক্ষ্য হবে মানবাধিকারের প্রসার ও সুরক্ষায় সহায়তা দেওয়া। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে জবাবদিহিতা ও সংস্কারের ধারাবাহিক অঙ্গীকার হিসেবে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১৯ জুলাই) অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদারের পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের (ওএইচসিএইচআর) মধ্যে একটি তিন বছরের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ সমঝোতার আওতায় বাংলাদেশে একটি মিশন কাজ করবে, যার লক্ষ্য হবে মানবাধিকারের প্রসার ও সুরক্ষায় সহায়তা প্রদান। এ মিশনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোকে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া। এটি বাংলাদেশকে তার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারবিষয়ক দায়িত্ব পালনে সহায়তা করবে—সংস্থানগত সক্ষমতা বৃদ্ধি, আইনি সহায়তা এবং প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা স্বীকার করি, জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ধারণাগত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশের কিছু মহলে উদ্বেগ রয়েছে। বাংলাদেশ একটি সংস্কৃতিমূলক ও ধর্মীয় মূল্যবোধে সমৃদ্ধ সমাজ। অনেক নাগরিক মত দিয়েছেন, যেকোনো আন্তর্জাতিক অংশীদারত্ব যেন দেশের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক মূল্যবোধকে সম্মান করে। সে কারণে ওএইচসিএইচআর এর এই মিশন শুধু গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও প্রতিকার এবং পূর্ববর্তী সরকারের অধীনে সংঘটিত অপরাধসমূহের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিষয়েই কেন্দ্রীভূত থাকবে। এটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কাঠামোর বাইরে কোনো সামাজিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করবে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা আশা করি, মিশনটি সর্বদা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করবে এবং স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রাখবে। জাতিসংঘ বাংলাদেশে কাজ করার সময় দেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বাস্তবতাকে পূর্ণ সম্মান প্রদর্শনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই সমঝোতায় বাংলাদেশের সার্বভৌম কর্তৃত্ব বজায় থাকবে। সরকার যদি মনে করে যে, এই অংশীদারত্ব আর জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তবে প্রয়োজন হলে সমঝোতা স্মারক থেকে সরে আসার অধিকার সংরক্ষণ করে।

সরকার এই অংশীদারত্বকে একটি সুযোগ হিসেবে দেখছে—যার মাধ্যমে আমাদের প্রতিষ্ঠানসমূহ শক্তিশালী হবে এবং নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।

Shera Lather
Link copied!