বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান রিয়াদ। গত ২৬ জুন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আব্দুল কালাম আজাদের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার চেক ও একটি জমির দলিল নেন রিয়াদ। নবম জাতীয় সংসদের রংপুর-৬ আসনের এমপি ছিলেন আজাদ। চাঁদাবাজির ওই ঘটনায় কয়েকদিন ধরেই তাকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
সেই সমালোচনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রিয়াদের আরেকটি বাসার খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। আর সেই বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নগদ ২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এ ছাড়া রিয়াদ ও তার সহযোগীরা অন্য কোথায় কোথায় চাঁদাবাজি করেছে সে বিষয়েও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা রিয়াদের আরও চাঁদাবাজির বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।
গত ২৬ জুন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আব্দুল কালাম আজাদের গ্রিন রোডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান রিয়াদ ও তার কয়েকজন সহযোগী। মব তৈরির হুমকি দিয়ে তাঁর গলায় জুতার মালা পরানোর ভয় দেখানো হয়। এরপর আজাদের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার চেক ও একটি জমির দলিল নেন রিয়াদ। নবম জাতীয় সংসদের রংপুর-৬ আসনের এমপি ছিলেন আজাদ।
এদিকে, রিয়াদের ঢাকার ভাড়া বাসা থেকে দুই কোটি ২৫ লাখ টাকার চারটি চেক উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
এ তথ্যে জানা যায়, রিয়াদের বাসা থেকে উদ্ধার চারটি চেক সাবেক এমপির কাছ থেকে নেওয়া। বাকি আড়াই কোটি টাকার চেক রিয়াদের সহযোগীদের কাছে রয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় পুলিশ পেয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এদিকে, চেক উদ্ধারের ঘটনায় রিয়াদ ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট আরেকটি সূত্রে জানা যায়, সাবেক এমপির ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ কোটি টাকার যেসব চেক নেওয়া হয় সেগুলো আগস্টে ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া ‘নিট জোন প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের প্রতিষ্ঠান থেকে চেক ইস্যু করা হয়। তবে চেক কারো নামে দেওয়া হয়নি। শুধু সই ও টাকার অঙ্ক লেখা ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :