যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে পাল্টা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান। তার মতে, প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের বর্তমান শুল্কহার তুলনামূলক কম হওয়ায় এই সংকটও ধীরে ধীরে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে এখন আমাদের শুল্কহার প্রায় সমান বা কিছুটা কম, এটি আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক।’
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা এখন প্রায় ২০ শতাংশ বেশি শুল্ক দিচ্ছেন, যা তাদের ব্যয়ক্ষমতা ও মার্কিন ভোক্তাদের ভোগব্যয় হ্রাস করতে পারে। এর প্রভাব হিসেবে প্রাথমিকভাবে রপ্তানিতে কিছুটা ধাক্কা লাগতে পারে এবং মূল্য নিয়ে চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
তবে এই চ্যালেঞ্জকে স্বল্পমেয়াদি বিবেচনায় এনে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, বাংলাদেশ শুল্ক প্রতিযোগিতায় মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্থানে আছে। ফলে ধাক্কা সামাল দিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বৃহস্পতিবার এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন, যার ফলে কয়েক ডজন দেশ ও অঞ্চল থেকে আমদানি পণ্যের ওপর ১০ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত নতুন পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়।
হোয়াইট হাউসের শুক্রবারের ঘোষণায় জানানো হয়, বাংলাদেশের জন্য শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ, তাইওয়ানে ২০ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০ শতাংশ এবং মায়ানমারে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
অন্যান্য দেশের শুল্কহার (নতুন): পাকিস্তান: ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তান: ১৫ শতাংশ, ব্রাজিল: ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া: ১৯ শতাংশ, মালয়েশিয়া: ১৯ শতাংশ, ফিলিপাইন: ১৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা: ২০ শতাংশ, ভিয়েতনাম: ২০ শতাংশ।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই নতুন শুল্কনীতি বিশ্ব বাণিজ্যে এক নতুন ভারসাম্য তৈরি করবে। আর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত এই প্রতিযোগিতায় কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় ধীরে ধীরে স্থিতিশীলতা ফিরে পাবে বলে আশা করা যায়।