ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট, ২০২৫

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাত ৬ মরদেহ আঞ্জুমান মফিদুলে হস্তান্তর

মেডিকেল প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ৭, ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
আঞ্জুমান মফিদুল। ছবি- সংগৃহীত

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিতে নিহত অজ্ঞাত ছয় জনের মরদেহ আঞ্জুমান মফিদুলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত এক বছর ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পড়ে ছিল তাদের মরদেহ। এ দীর্ঘ সময়েও তাদের খোঁজে আসেননি কেউ। এতে অজ্ঞাত হিসেবেই আজ তাদের দাফন করা হবে জুরাইন কবরস্থানে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়।

নিহতদের মধ্যে একজন নারী (৩২), বাকিরা পুরুষ (৩০), (২৫), (২০), (২২)ও (২৫)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী গোলাম মোখলেসুর রহমান।

তিনি জানান, জুলাই আন্দোলনের সময় ৭ জুলাই থেকে ১৪ জুলাইের মধ্যে মরদেহগুলো ঢাকা মেডিকেল আসে। ১ জন মহিলা ও ৫ জন পুরুষ। ডিএনএ আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

আজ দুপুরের দিকে পুলিশের মাধ্যমে আঞ্জুমান মফিদুলের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিটা মরদেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ১ টি মরদেহে শটগানের গুলির আঘাত। আর বাকিগুলোতে ভোতা অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। আদালতের আদেশে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হলো।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ন-কমিশনার ফারুক আহমেদ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতের ছয়টি মরদেহ এখানে রাখা হয়েছিল এবং ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পুলিশের যতগুলো কার্যক্রম ছিল প্রত্যেকটি সম্পন্ন করেছি। বিষয়টি আদালতকে জানাই এবং আদালতের নির্দেশেই মরদেহগুলো আঞ্জুমান মফিদুলের কাছে দাফনের জন্য হস্তান্তর করি। কবরস্থানে প্রত্যেকটিতে সিরিয়াল অনুযায়ী নম্বর থাকবে, ভবিষ্যতে যদি কারো সঙ্গে ডিএনএ স্যাম্পল মিলে তাহলে মরদেহ দেয়া হবে।

মরদেহগুলো কেন শনাক্ত করা যায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু তাদের হাতের অবস্থা খারাপ থাকায় তা দেওয়া সম্ভব হয়নি। যার কারণে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরিচয় শনাক্তের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছি।

আঞ্জুমান মফিদুলের দাফন সেবা অফিসার কামরুল ইসলাম বলেন, দাফনের উদ্দেশ্যে জুরাইন কবরস্থানে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ছয় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অজ্ঞাত ৬ মরদেহের মধ্যে ৩ যাত্রাবাড়ী থানার, ১ পল্টন থানার ও ২ শাহবাগ থানার। দীর্ঘদিন তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত কেউ নিতে আসেনি। মরদেহগুলোর ডিএনএ সংরক্ষণ করা রয়েছে, যেন ভবিষ্যতে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়।