বাংলাদেশ সফরে এসে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
তিন দিনের সফরের প্রথম দিন শনিবার বিকেলে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন তিনি। ঢাকার একটি হোটেলে এই বৈঠকগুলো অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকগুলোর বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা দিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনে বিএনপির ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে নেতৃত্ব দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া বার্তায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও স্বার্থের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন ইসহাক দার। বৈঠকে আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রসঙ্গ বিশেষভাবে আলোচনায় উঠে আসে। এতে সার্ক প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার স্বীকৃতি জানানো হয়। এছাড়া পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অতীতের উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগের কথাও নেতারা আলোচনায় উল্লেখ করেন।
এরপর জামায়াতের সঙ্গে বৈঠক করেন ইসহাক দার। বৈঠকে জামায়াতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলটির নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
এ বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া পৃথক এক পোস্টে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে মূলত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ক জোরদারের উপায় এবং এ অঞ্চলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ সময় পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী জামায়াতের নেতাকর্মীদের দুর্দশা ও নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও তাদের সাহস ও দৃঢ়তার প্রশংসা করেন।
বিএনপি ও জামায়াতের আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেখা করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দলের সদস্যসচিব আখতার এই বৈঠকের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়, ইসহাক দার এনসিপির সংস্কার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেছেন। একই সঙ্গে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এনসিপি নেতারা বৈঠকে ২০২৪ সালে দেশব্যাপী রাজনৈতিক সংহতকরণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়ানোর সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।