গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করার আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান সম্রাট মাঝি রাজধানীর রমনা থানায় মামলার আবেদন করেন।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক জানান, ঘটনাটি রমনা থানার আওতায় না পড়লেও মামলার আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। আবেদনটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও পাঠানো হয়েছে। সবকিছু যাচাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় কাকরাইলের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল অতিক্রমকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, শুরুতে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হলেও কিছু নেতাকর্মী তা উপেক্ষা করে সহিংসতা বাড়ানোর চেষ্টা করেন। তারা মশাল মিছিল, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং স্থাপনায় আগুন দেওয়ার চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলপ্রয়োগে বাধ্য হয়। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচ সদস্য আহত হন।