চট্টগ্রামের সিইপিজেড এলাকায় ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ছয় ঘণ্টা পার হলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০ ইউনিটের পাশাপাশি যোগ দিয়েছে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী। এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার কিছু পর লিংক রোডের সাততলা ওই ফ্যাক্টরির ৫, ৬ ও সপ্তমম তলায় আগুন লাগে।
ঘটনার খবর পাওয়ার মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং বর্তমানে সিইপিজেড, বন্দর, কেইপিজেড ও আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের ২০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী।
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো তা এখনো জানা যায়নি। তবে কারখানার ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে।
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) নির্বাহী পরিচালক আবদুস সুবাহান জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, তাই কারও হতাহত হওয়ার খবর নেই। ভবনে মোট ৭০০ শ্রমিক কাজ করতেন।
এদিকে, আগুনের তীব্র তাপে পাশের কয়েকটি কারখানার ভবন অতিরিক্ত গরম হওয়ায় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কারখানাগুলোর অভ্যন্তরে পানি ছিটিয়ে শীতল রাখার চেষ্টা করছেন সেখানকার কর্তৃপক্ষ।
পার্শ্ববর্তী কারখানা স্মার্ট জ্যাকেটের কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব হাইড্রেন্ট দিয়ে সামনের অ্যাডামস ক্যাপে লাগা আগুনে প্রায় তিন ঘণ্টার মতো পানি ছিটিয়েছি। আগুনের তাপে আমাদের কারখানাও অত্যধিক গরম হয়ে উঠছে। এখন আমরা আমাদের কারখানার অভ্যন্তরেও পানি ছিটিয়েছি।’