রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম

নিষেধাজ্ঞা শেষ, জেলেদের জালে উঠছে ইলিশ

বিশেষ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম

জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ। ছবি- সংগৃহীত

জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ। ছবি- সংগৃহীত

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও নদীতে নেমেছেন জেলেরা। গত রাত ১২টা থেকে মেঘনা আশপাশের নদীগুলোতে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরা। দীর্ঘ বিরতির পর তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন নদীতে। চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে শুরু হয়েছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছের বেচাকেনা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ঘাটে আবারও কেনাবেচার উৎসব জমে উঠেছে। এতে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও আড়তদারদের মাঝে।

রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে চাঁদপুরের মেঘনা তীর ঘুরে দেখা গেছে, জেলে সোহরাব আলী ও ইয়াসিন মোল্লা ও তাদের সহযোগীদের নিয়ে ভীষণ ব্যাস্ত। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে রাতে নদীতে নেমেছেন তারা। তবে পদ্মা-মেঘনায় এখনো আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়ছে না। এ কারণে তারা ইলিশের পাশাপাশি পাঙাশ, আইড়সহ অন্যান্য মাছ ধরছেন। জেলেদের আশা, কয়েক দিনের মধ্যেই ইলিশের জালে ধরা পড়ার পরিমাণ বাড়বে।

ইলিশ ব্যবসায়ী নবীর হোসেন ও নাহিদ হাসান বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় বড় স্টেশন মাছঘাটেও সব ধরনের মাছ বিক্রি বন্ধ ছিল। এখন আবার ইলিশসহ সব মাছ বিক্রি শুরু হয়েছে। এতে আমরা খুশি। প্রথম দিনে ঘাটে তেমন মাছ আসেনি, তবে কয়েক দিনের মধ্যেই সরবরাহ বাড়লে দামও কমবে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। দক্ষিণাঞ্চল থেকে এখনো খুব কম ইলিশ আসছে। চাঁদপুর ও দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশ একসাথে বাজারে উঠতে শুরু করলে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে শনিবার (২৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে নদীতে মাছ ধরতে শুরু করেছেন ঝালকাঠির জেলেরাও। মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। তাই নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই মাছ ধরায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। দীর্ঘ বিরতি শেষে নদীতে নামতে পেরে তারা উচ্ছ্বসিত। এখনো ডিমওয়ালা মা ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। তাই জেলেদের মুখে এখন আশার হাসি। তবে নদীতে ইলিশের পরিমাণ ও দাম নিয়ে শঙ্কাও রয়েছে তাদের মাঝে।

জেলে শুকুর আলীর ভাষ্য, নিষেধাজ্ঞাকালীন আমরা নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত ছিলাম। ২২ দিন মাছ ধরতে না পারায় আমরা বেকার হয়ে পড়েছিলাম। অনেকেই মহাজন ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিবারের খরচ চালিয়েছি। এখন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় মাছ ধরতে নেমেছি। আশা করি, ভালো মাছ জালে উঠবে।

এবারে তৎপরতা ও অভিযান সফল হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা আশানুরূপ ইলিশ মাছ পাবে বলেও আশা করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল ।

Link copied!