শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


জালালউদ্দিন সাগর

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম

চট্টগ্রামে প্রথম নারী জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম

জালালউদ্দিন সাগর

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম

প্রথম নারী জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

প্রথম নারী জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

প্রথম নারী ডিসি (জেলা প্রশাসক) পদায়নকে চট্টগ্রামের ইতিহাসে স্মরণীয় করে রাখতে চান প্রথম নারী জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। তিনি বলেন, ‘মানুষের জন্য, মানবতার জন্য এমন কিছু করে যেতে চাই, যাতে চট্টগ্রামের মানুষ শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসার সঙ্গে শত বছর পরেও আমার নামটা স্মরণ করেন।’

জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘গত ১২ সেপ্টেম্বর আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে চট্টগ্রামে যোগ দিয়েছি। সেদিন থেকে রুটিন কাজের বাইরে গিয়ে চেষ্টা করছি, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়কে গণমানুষের আস্থা ও নির্ভরতার জায়গায় নিয়ে যেতে।’

এক প্রশ্নের জবাবে ফরিদা খানম আরও বলেন, ‘সিস্টেমের কারণে সেবাপ্রার্থীদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়। হয়তো সব ভোগান্তির কথা আমাকে জানানো হয় না। কিংবা আমি জানতেও পারি না। সেসব ভোগান্তি কমাতে সাপ্তাহিক বুধবার নির্ধারিত শুনানি ছাড়াও প্রতি মাসে ১ দিন গণশুনানির আয়োজনের চিন্তা-ভাবনা করছি। প্রতি মাসে একবার বৃহৎ আকারে এই শুনানির আয়োজন করা হবে যেখানে জেলা প্রশাসনের সব কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। গণশুনানিতে উঠে আসা সমস্যাগুলোর সর্বশেষ অবস্থা আলোচনা করে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ যোগ করেন তিনি। দুর্নীতি ও মানবতার বিষয়ে কোনো আপস করতে চান না ফরিদা খানম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেখানেই দুর্নীতি এবং মানবতার অবমূল্যায়ন দেখব সেখানেই ‘হাত’ দিতে চাই। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে জন্ম নেওয়া নতুন বাংলাদেশে দুর্নীতিকে শক্ত হাতে দমন করতে চাই। শিক্ষক বাবার কথা স্মরণ করে চট্টগ্রামের প্রথম নারী জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বাবা সততার বিষয়ে আপস করেননি কখনো। বাবা প্রায়ই বলতেন, ‘সততার সঙ্গে যোগ্য হয়ে উঠতে হবে। সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে হবে নিজেকে।’

সাঈদ ও মুগ্ধর কথা স্মরণ করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘রক্তস্নাত একটি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন একটি বাংলাদেশ পেয়েছি। যে বাংলাদেশ পেতে হাজারও ছাত্র-জনতাকে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নতুন যে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছেÑ সততা ও দক্ষতার সঙ্গে আমি তার প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। যোগ করেন ফরিদা খানম।’

চট্টগ্রামকে আধুনিক একটি নগর হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন জানিয়ে ফরিদা খানম আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামের কৃষ্টি-সংস্কৃতির মতো মানুষের হৃদয়টাও অনেক বড়। আমি বিশ্বাস করি, চট্টগ্রামকে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সবাই আমাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করবেন।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২০০১ সালে অনার্স এবং ২০০২ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন ফরিদা খানম। ২৫তম বিএসএস-কর্মকর্তা হিসেবে ২০০৬ সালে যোগ দেন প্রশাসন ক্যাডারে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সযুক্ত করা হয় ২৫ বিসিএসের এই কর্মকর্তাকে। সেখান থেকে গত ৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চট্টগ্রামের ২৫২ বছরের ইতিহাসে প্রথম নারী জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ফরিদা খানম। ১৭৭২ সালে চট্টগ্রামে  ‘ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর’ অফিস (বর্তমানে জেলা প্রশাসন কার্যালয়) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এই পদে পদায়ন হয় ১৯০ জন কর্মকর্তার। তার মধ্যে ব্রিটিশকালীন ছিলেন ১২৮ জন, পাকিস্তানকালীন ২৯ এবং মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকালীন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৩৩ কর্মকর্তা।

আরবি/জেডআর

Shera Lather
Link copied!