জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের কিছুদিন পরই নানা ইস্যুতে রাজধানী রীতিমতো দাবির শহরে পরিণত হয়। ছোট-বড় যেকোনো ইস্যুতে মুহূর্তেই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজপথ
প্রায় প্রতিদিনই মিছিল, সমাবেশ, অবরোধ, ঘেরাও, আলটিমেটাম দিয়ে দাবি আদায়ের কর্মসূচি চলে। শুরু থেকে সব রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্মথন ও সহযোগিতা করায় কোনো চাপ অনুভব করেনি ড. ইউনূস সরকার।
তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান চাওয়া জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপসহ নানা ইস্যুতে দূরত্ব সৃষ্টি হয় অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে। দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে সরকারের দূরত্বের সূত্রপাত হয় সংবিধান ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের মৌলিক পরিবর্তনের কিছু সুপারিশের বিষয়ে দ্বিমত থেকে।
দ্বিমত থেকে রাজনৈতিক দলের তীব্র চাপ শুরু সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবিতে। রাজনৈতিক দলের এমন চাপে কঠিন সংকটে অন্তর্বর্তী সরকার। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় উল্লেখ করে ড. ইউনূস পদত্যাগের বিষয়টিও সামনে আসে (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বক্তব্য থেকে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির দুটি কারণ। সবাই যদি আদালতের রায়ে সম্মান দেখায়, তবে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে তা কমানো সম্ভব। একই সাথে, জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে সরকারের মধ্যে যে বিভ্রান্তি রয়েছে, একমাত্র নির্বাচনী রোডম্যাপই পারে চলমান সংকট নিরসন এবং চাপমুক্ত করতে।
এদিকে, অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টাসহ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং অবিলম্বে সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দাবি করে বিএনপি ঘোষণা দিয়েছে, দাবি মানা না হলে সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। মূলত এর মাধ্যমে সরকারকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির এমন ঘোষণার পর, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন বলে মন্তব্য করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
ড. ইউনূসের পদত্যাগ ইস্যুতে দেশ যখন সরগরম, তখন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস পদত্যাগ করবেন না। তার ক্ষমতার প্রয়োজন নেই। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অধ্যাপক ইউনূসের দরকার আছে।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপ-উপাচার্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়য়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, উপদেষ্টাদের কেউ কেউ অতিউৎসাহী হয়ে কিছু কথা বলে ফেলেন, যেটা এখনই বলার প্রয়োজন ছিল না; পরে বললেও হতো। তবে কথাগুলো যখন তারা বলে ফেলেন তখন এক ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
একই সাথে, ক্যান্টনমেন্টে সামরিক বাহিনীর ভেতর কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে বলে শুনেছি, যেটাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং তাদের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগ থাকতে পারে। এটি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের অংশও হতে পারে। এই দুটিই মূলত সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির কারণ বলে মনে করি।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সবাইকে সহনশীল হতে হবে। যেহেতু সবার সমর্থনে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে, ফলে তাদের মৌলিক সংস্কারের জন্য কিছুটা সময় দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করি। সবাইকে মনে রাখতে হবে, সংস্কার বললেই হয়ে যাবে, এমনটি নয়। ১৬ বছরের যে অনাচার-অত্যাচারের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা সংস্কার করতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। একই সাথে, সরকারের উপদেষ্টাদের অতিউৎসাহী হয়ে কথা বলা বন্ধ করতে হবে। তাদেরও সহনশীল হতে হবে, যা সবার জন্য মঙ্গলজনক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী মাহবুবুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ড. ইউনূস যতক্ষণ নিজে না বলবেন তিনি চাপে আছেন বা পদত্যাগ করতে চান, ততক্ষণ পর্যন্ত এই বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী নয়। তারপরও বলি, বিএনপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দল প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়ে কথা বলেনি। রাজনৈতিক দলগুলো যেসব উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি তুলেছেন, তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে তারা নিরপেক্ষ হলে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, ইশরাক হোসেনের সঙ্গে সরকার যে আচরণ করছে, তা করতে পারে না। আদালতের রায় হয়েছে, আমাদের সবার যে রায়ে সম্মান দেখানো উচিত। সেটি না করে বিএনপির সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। এসব অন্যায়ের কারণে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এই দূরত্ব সরকারই কমাতে পারে। তারা যদি আইনের শাসন মেনে বিচারিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, একই সাথে সরকার যদি বিএনপির সঙ্গে ন্যায়সংগত আচরণ করে।
এদিকে, রাজপথে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ তৈরি করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন, মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে ১৪ থেকে ২২ মে পর্যন্ত ৯ দিন রাজধানীতে কর্মী-সমর্থকদের টানা উপস্থিতির মাধ্যমে মাঠের সামর্থ্য দেখাতে পেরেছেন তারা।
একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও বেশি চাপে ফেলা গেছে। এ ছাড়া উচ্চ আদালতের রায়ে ইশরাক হোসেনের মেয়র পদে শপথের বাধা কেটেছেÑ এটিকেও ‘জয়’ হিসেবে দেখছেন বিএনপির নেতারা। এখন দলটির চূড়ান্ত লক্ষ্য আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আদায়। এ জন্য আগামী জুন মাসে পবিত্র ঈদুল আজহার পর রাজপথে কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে দলটি।
বিএনপির উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রে জানা যায়, সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে দলের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সময় চাওয়া হয়। গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও গত বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে কিছু জানানো হয়নি।
এরপর বিকেলে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমের অব্যাহতি দাবি করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের অব্যাহতির দাবি তুলেছে দলটি।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন ধরে রাখা ‘কঠিন হবে’ বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেছে বিএনপি। এমন প্রেক্ষাপটে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, দলটির নীতিনির্ধারকেরা সেদিকে দৃষ্টি রাখছেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে একটি জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করতে হবে। এটিই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান এজেন্ডা হওয়া উচিত বলে জনগণ মনে করে। এর অন্যথা হলে বিএনপির পক্ষে এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
চাপে দুই উপদেষ্টা ও খলিলুর: অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলমকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং রোহিঙ্গা সমস্যাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ (উপদেষ্টার পদমর্যাদা) খলিলুর রহমানেরও অব্যাহতি চেয়েছে দলটি। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন লিখিত বক্তব্যে এই দাবি জানান।
অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক কিছু কর্মকাণ্ডে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনমনে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘যেসব উপদেষ্টা একটি নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত বলে সবাই জানে ও বোঝে; উপদেষ্টা পরিষদে তাদের উপস্থিতি সরকারের নির্দলীয়, নিরপেক্ষ পরিচিতিকে ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ করে চলেছে বলেই সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে তাদের অব্যাহতি প্রদান করা প্রয়োজন।’
এর আগে গত বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে বিএনপির নেতাকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচিতে একই দাবি জানান দলের বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন। সেদিন তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করেন। বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ বহাল থাকা অবস্থায় সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সঠিক নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
এ বিষয়ে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মাথাভারী উপদেষ্টা পরিষদ না রেখে শুধু রুটিন ওয়ার্ক (দৈনন্দিন কার্যক্রম) পরিচালনার জন্য একটি ছোট আকারের উপদেষ্টা পরিষদ রাখাই বাঞ্ছনীয়। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান সম্পর্কে লিখিত বক্তব্যে বিএনপি বলেছে, তার (খলিলুর রহমান) বক্তব্য আবারও নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। তাই সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষায় তাকেও অব্যাহতি দিতে হবে। সরকারের পাশে থাকা কঠিন হবে, বলছে বিএনপি।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন ধরে রাখা বিএনপির জন্য ‘কঠিন হবে’ বলেও দলটি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেছে। এতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা ধারণ করে মানুষের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারসহ ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে যত শিগগির সম্ভব জন-আকাক্সক্ষা অনুযায়ী নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে একটি জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করতে হবে। এটিই বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান এজেন্ডা হওয়া উচিত বলে জনগণ মনে করে।
এর অন্যথা হলে বিএনপির পক্ষে এই সরকারের প্রতি সহযোগিতা অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতার অবস্থান বজায় রাখা। কিন্তু লক্ষ করা যাচ্ছে, কোনো কোনো মহলের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করাই যেন সরকারের কর্মপরিকল্পনার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দায় পুরোটাই সরকারের
ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করায় নির্বাচন কমিশনকে অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, তাদের আশা, নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল এবং উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে শিগগিরই সরকার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করবে।
আপনার মতামত লিখুন :