রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠান। দেশের মিডিয়া অঙ্গনের সবচেয়ে বড় তারকাদের আনা-গোনা, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ, আলোকসজ্জা ও সংগীতে মুখরিত ছিল এই আসর।
প্রথম অংশে সঞ্চালনার ভারে ছিলেন আফজাল হোসেন, তাঁর অভিজাত মঞ্চ উপস্থিতির পর মাইক হাতে মঞ্চে এলেন আফরান নিশো আর তাসনিয়া ফারিণ।
এটাই তাদের প্রথমবারের মতো মেরিল-প্রথম আলো উপস্থাপনার অভিজ্ঞতা। মঞ্চে তাঁদের ‘কেমিস্ট্রি’ দেখে অনেকেই বলছেন, পুরস্কার তো একপাশে, আসল ঝলকটা ছিল এখানেই!
পুরো আয়োজনজুড়ে মাঝে মাঝে ছিল মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, যা দর্শকদের শুধু পুরস্কার নয়, একরকম উৎসবের আমেজও দিয়ে যায়।
তারকাবহুল এই সন্ধ্যায় একে একে জানা গেল বিজয়ীদের নাম। সেরা ওয়েব সিরিজ হয়ে বাজিমাত করে ‘রঙিলা কিতাব’।
বছরজুড়ে আলোচনায় থাকা হইচই অরিজিনাল এই সিরিজটি নিয়ে ছিল তুমুল উত্তেজনা। সমালোচকদের রায়ে পুরস্কার ঘোষণার পর তা যেন দ্বিগুণ হয়ে উঠল।
‘রঙিলা কিতাব’র হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন হইচই বাংলাদেশের সাকিব আর খান। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন অভিনেত্রী আফসানা মিমি ও নির্মাতা আশফাক নিপুন।
অন্যদিকে ‘চরকি’র সাহসী প্রজেক্ট ‘২ষ’ পরিচালনা করে ওয়েব সিরিজ বিভাগে সেরা পরিচালকের পুরস্কার নিজের নামে করে নেন নন্দিত কথা সাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের পুত্র নুহাশ হুমায়ূন। তিনি যে এই সময়ে এসে গল্প বলার নিজস্ব ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন, তার স্বীকৃতি যেন এই পুরস্কার।

অভিনয়ে এবারও নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করলেন মোশাররফ করিম। ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’-এ অনবদ্য অভিনয়ের জন্য তিনি জিতে নেন সেরা অভিনেতার তকমা।
ঠিক বিপরীত দিকে, ‘সিনপাট’-এ অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন জিন্নাত আরা। তার এই জয় অনেকের কাছে প্রত্যাশার চেয়েও বড় চমক।
চিত্রনাট্যের মঞ্চেও এবার নতুন মুখের জয়। সালজার রহমান ‘কালপুরুষ’র জটিল অথচ মানবিক গল্প রচনার জন্য সেরা চিত্রনাট্যকার হিসেবে পুরস্কৃত হন।
১৯৯৯ সাল থেকে বিনোদন জগতের সেরা কাজগুলোর স্বীকৃতি দিতে যে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কারের যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেই আয়োজন আজ ২৬তম বছরে এসেও একই রকম চমকপ্রদ। বরং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হয়েছে আরও বেশি জমকালো, আরও বেশি দ্যুতিময়।
এক কথায়, এই আসর ছিল তারকাদের রঙে রঙিন, আর দর্শকদের কৌতূহলে ‘টক অব দ্য টাউন’।
আপনার মতামত লিখুন :