আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি, জামায়াতসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল। একইসঙ্গে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে রাজনৈতিক দল, অঙ্গসংগঠন ও সমর্থকদের শাস্তির আওতায় আনার সিদ্ধান্তকেও সময়োপযোগী ও যথাযথ বলে মন্তব্য করেছে দলগুলো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে নজির রয়েছে, গণহত্যায় অভিযুক্ত দলগুলোকে বিচার করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশেও সেই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় আমরা সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই।’
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের মাধ্যমে আমাদের প্রাণের দাবির আংশিক পূরণ হয়েছে। আমরা আশা করছি, জুলাই ঘোষণাপত্র শিগগিরই প্রকাশিত হবে।’
শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন অবস্থায় আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম, সাইবার স্পেসসহ, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, আইনের সংশোধনীর মাধ্যমে ট্রাইব্যুনাল এখন দলীয় ও সংগঠনের বিরুদ্ধেও শাস্তি দিতে পারবে।
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি রেজাউল করীম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে দেরি হয়েছে, তবে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আশা করি, দ্রুত তাদের বিচারকাজ সম্পন্ন হবে।’
এলডিপির প্রেসিডেন্ট ড. অলি আহমদ বলেন, ‘নয় মাসের আন্দোলনের পর এই সিদ্ধান্ত জনগণের সাহসিকতার জয়। এটা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।’
আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হবে এই বিচার প্রক্রিয়ায়। তবে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হওয়া উচিত।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের অপরাধের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নাগরিক প্রত্যাশার প্রতিফলন।’
এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আইন সংশোধনসহ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত ইতিবাচক ও সময়োপযোগী।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দলটি যে নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, তা বিবেচনায় নিয়ে সরকার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা শুধু শুরু। দ্রুত বিচার শেষ করে আওয়ামী লীগকে চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাহলেই এই গণআন্দোলন সম্পূর্ণ হবে।’