‘নির্বাচন যত বিলম্বিত হচ্ছে, দেশকে তত বেশি অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেছেন, ‘ডিসেম্বর পর্যন্ত যেতে হবে কেন? আমি তো দেখছি ডিসেম্বর পর্যন্ত যাওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাচনের জন্য তিন মাস সময় দরকার। আগস্ট, সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে নির্বাচন হতে পারে।’
রোববার (১৮ মে) রাজধানীর বনানীতে একটি হোটেলে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, ‘জাতি এখন এক গভীর শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ এক অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে আছে। দেশ কোথায় যাচ্ছে, কেউ জানে না। সবাই মিলে স্বৈরাচার বিদায় করেছে। এর পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ পরিচালনার যে প্রত্যাশা ছিল, তা হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘সরকার এমনভাবে কাজ করছে, যেন তারা একটি নির্বাচিত সরকার। অথচ এটি অন্তর্বর্তী সরকার। তাদের দায়িত্ব ছিল একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করে ক্ষমতা নির্বাচিত সরকারের কাছে হস্তান্তর করা।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যেসব সংস্কার প্রস্তাবনাগুলোতে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তারা বলতে পারে। একদিনের মধ্যেও বলতে পারে। এতদিন তো লাগে না। ঐকমত্য কোথায় হয়েছে, যেকোনো কাউকে বললে এটা দুই-চার-পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে সব রেডি হয়ে যায়।’
‘ঐকমত্য যেখানে হয়েছে, এসব আপনি বলে দেন। তার ভিত্তিতে আপনি ইমিডিয়েটলি রোডম্যাপ ডিক্লেয়ার করেন’, যোগ করেন তিনি।
কারো ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য সংস্কার দেখতে চাই না উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণ যেভাবে চায় সেভাবে সংস্কার হবে...বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা ফিরে চায়।
তার নির্বাচিত সরকার চায়। নির্বাচনি কার্যক্রমের দিকে কেন এগোনো যাচ্ছে না? নির্বাচ রোডম্যাপ দেওয়া হচ্ছে না কেন? তাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) দায়িত্ব যেগুলো, সেগুলো এড়িয়ে অন্য কাজ কেন?’
সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘করিডোর, বন্দর, বিনিয়োগ সম্মেলন এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এই সরকারের এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার বৈধতা কোথায়?’
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র-সংক্রান্ত আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন আমীর খসরু।