ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

নিবন্ধন হারাতে পারে আ.লীগের শরিকরা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৫, ০৯:০৬ এএম
নিবন্ধন হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন আওয়ামী জোটরে শরিকরা। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন হারানোর পর থেকে ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের জোটের শরিক দলের নেতারা। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যেসব দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তারাই এ ঝুঁকিতে রয়েছেন।

যাদের নিবন্ধন বাতিল হতে পারে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো- মহাজোট সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি, ১৪-দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), সাম্যবাদী দল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি (জেপি)।

আওয়ামী লীগের জোটে ১৩টি রাজনৈতিক দল থাকলেও বেশ কয়েকটির নিবন্ধন নেই। আওয়ামী লীগের জোটে না থাকলেও সমঝোতা করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টিও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে ইসির কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।

এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের সহযোগী ১৪-দলীয় জোটের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। যারা পাতানো নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা জনকল্যাণে ব্যয় করার তাগিদও দিয়েছেন দলটির নেতারা।

আওয়ামী লীগের শরিক দল ওয়া ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। একাধিক হত্যা মামলাসহ বেশ কিছু মামলা তার মাথার ওপর। দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা আওয়ামী লীগের পতনের পরই গা-ঢাকা দিয়েছেন। ফলে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়ে চলছে দলটি।

১৪-দলীয় জোটের আরেক শরিক জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতারও গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়াও ন্যাপ, জেপি, সাম্যবাদী দলের নেতারাও আত্মগোপনে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের জোট শরিক হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিলের দাবি উঠেছে।

অন্যদিকে ২০০৯ সালে মহাজোট সরকারের শরিক জাতীয় পার্টির নিবন্ধনও বাতিলের দাবি করা হয়েছে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দলের সাথে মহাজোট করে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।