ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫

মনুষ্যবিহীন আকাশযান বানাচ্ছে চীন, বহন করবে ১০০ আত্মঘাতী ড্রোন

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৫, ০৩:১৪ পিএম
চীন নির্মিত জিউ তান অকাশযান । ছবি- সংগৃহীত

এবার মনুষ্যবিহীন আকাশযান আনছে চীন। এটি বহন করতে পারবে ১০০টি আত্মঘাতী কামিকাজে ড্রোন। চীন এই আকাশযানের নাম দিয়েছে ‘জিউ তান’।

কামিকাজে ড্রোন ছাড়াও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বহন করতেও সক্ষম আকাশযানটি।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে জিউ তানের চতুর্থ প্রোটোটাইপের কাঠামো তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সেটির ইনস্টলেশন ও পরীক্ষা চলছে।

অল্প কয়েকদিনের মধ্যে এই আকাশযানটির পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়েছে। এর মাধ্যমে চীন তাদের বিমানবাহিনীর সক্ষমতা আরও বাড়াতে চলেছে।

‘জিউ তানের’ নির্মাতা চীনা প্রতিষ্ঠান শানজি আনম্যানড ইকুইপমেন্ট টেকনোলজি।

গত বছরের নভেম্বরে দেশের বৃহত্তম ঝুহাই এয়ার শোতে এই আকাশযানটি প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হয়। ২৫ মিটার দীর্ঘ ডানার এই যানটি টানা ১২ ঘণ্টা উড়তে পারে এবং এর সর্বোচ্চ পাল্লা ৭ হাজার কিলোমিটার।

এই আকাশযানটি ১৬ টন বা ১৬ হাজার কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারবে। তবে বিমানটির নিজস্ব ওজন বাদ দিলে এটি সর্বোচ্চ ৬ হাজার কেজি পর্যন্ত বহন করতে পারবে। এই ওজনের মধ্যে নজরদারি প্রযুক্তি থেকে শুরু করে গোলাবারুদ পর্যন্ত যেকোনো কিছু বহন কিংবা ব্যবহার করা যাবে।

এই উড়োজাহাজের সব থেকে উল্লেখযোগ্য দিক হল এটি একাধারে একাধিক ড্রোন উৎক্ষেপন করতে পারে যা বিপক্ষের সামলানো কঠিন করে দিবে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে এর একটি প্রতিরূপ দেখানো হয়েছে। ড্রোনের এই ঝাঁক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, নজরদারি এবং পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। চীন-তাইওয়ানের মধ্যে সংঘাত বাড়লে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে এই নতুন উড়োজাহাজ।

এই উড়োজাহাজটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং মাঝারি পাল্লার আকাশ-থেকে-আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র, যেমন পিএল-১২ এফ বহন করতে পারে। এটি ভূমি থেকে ৪৯ হাজার ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় উড্ডয়নে সক্ষম। এর উচ্চ উচ্চতায় পৌঁছানোর এই ক্ষমতা এটিকে ভূমিভিত্তিক রাডার সিস্টেমের কাছে শনাক্ত করা কঠিন করে তুলবে এবং বিশ্বের অনেক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর দিয়ে উড়তে পারবে।

চীন ড্রোনের ক্ষেত্রে বিশাল সক্ষমতা তৈরি করেছে। এ বছরের শুরুতে দেশটি টিপি ১০০০ নামে একটি ড্রোন পরীক্ষা করেছে, যা এক টনের বেশি পণ্য বহনে সক্ষম প্রথম মনুষ্যবিহীন পরিবহন বিমান। দেশটি এর আগেও দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালির বিতর্কিত দ্বীপগুলির চারপাশে ডব্লিউজেড-৭ এবং এবং টিবি-০০১ স্করপিয়ন ড্রোনের মতো দীর্ঘস্থায়ী ড্রোন পরিচালনা করেছে।