ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ মানচিত্র নিয়ে সতর্ক ভারত: জয়শঙ্কর

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি- সংগৃহীত

ভারত সরকার বাংলাদেশের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলছেন, বাংলাদেশের ঢাকায় ইসলামপন্থি গোষ্ঠী ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ প্রচারিত ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ নামের একটি বিতর্কিত মানচিত্র ঘিরে সতর্ক রয়েছেন তারা, যেখানে ভারতের কিছু অংশও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই গোষ্ঠীটি তুরস্কভিত্তিক এনজিও ‘তুর্কি ইয়ুথ ফেডারেশন’ সমর্থিত বলে দাবি তাদের।

সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

রাজ্যসভায় কংগ্রেস এমপি রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, এই বিতর্কিত মানচিত্রটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শন করা হয়েছিল।

রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা রাজ্যসভায় প্রশ্ন উত্থাপন করে জানতে চান, বাংলাদেশে তুরস্ক-সমর্থিত একটি চরমপন্থি গোষ্ঠীর মাধ্যমে ভারতের ভূখণ্ড অন্তর্ভুক্ত করে ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ প্রচারণার বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

তিনি আরও প্রশ্ন করেন, এ বিষয়ে সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে কোনো আলোচনা করেছে কি না এবং বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্ক ও পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার ফলে ভারতের নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর প্রভাব কতটুকু হয়েছে তা মূল্যায়ন করা হয়েছে কি না।

জয়শঙ্কর বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকার অবগত রয়েছে এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য যেকোনো ধরনের হুমকি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সরকারের নজরে এসেছে যে ঢাকায় ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ নামে একটি ইসলামপন্থি গোষ্ঠী, যা ‘তুর্কি ইয়ুথ ফেডারেশন’ দ্বারা সমর্থিত, তারা এমন একটি মানচিত্র প্রকাশ করেছে যা তথাকথিত ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ হিসেবে পরিচিত এবং তাতে ভারতের কিছু অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই মানচিত্রটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হয়েছে।’

তবে বাংলাদেশ সরকারের ফ্যাক্ট-চেক প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলাফ্যাক্ট’ জানিয়েছে, ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ নামে কোনো গোষ্ঠীর অস্তিত্ব বাংলাদেশের ভেতরে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা আরও জানিয়েছে, প্রদর্শিত মানচিত্রটি একটি ঐতিহাসিক প্রদর্শনীর অংশ ছিল, যা প্রাচীন বঙ্গ সালতানাত নিয়ে ছিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মানচিত্রটি ২০২৫ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হয়েছিল। প্রদর্শনীর আয়োজকরা দাবি করেছেন, তাদের কোনো বিদেশি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা নেই।