সম্প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনাকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বৃহস্পতিবার ফক্স রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, “এই দেশগুলোর কারোই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ক্ষমতা নেই। যতক্ষণ না ‘ইসরায়েল’ তা মেনে নেয়, ততক্ষণ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সম্ভব নয়।”
বার্তা সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলোকে ইঙ্গিত করে রুবিও বলেন, ‘তারা তো বলতে পারছে না ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কোথায় হবে, কে শাসন করবে। আমি মনে করি, এটা বিরূপ ফল বয়ে আনবে।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হামাস এখনো ২০ জনকে বন্দি রেখেছে এবং ৫০টির বেশি মরদেহ আটকে রেখেছে। ওই পশ্চিমা দেশগুলো হামাসের পক্ষে সমর্থন দিচ্ছে। সবশেষে হামাসপক্ষই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে। তাই আপনি হামাসকে পুরস্কৃত করছেন।’
রুবিও বলছেন, অনেক ক্ষেত্রেই এসব স্বীকৃতি দেওয়ার পেছনে দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ রাজনীতি কাজ করছে, যেখানে তারা কোনো না কোনো দিক নিয়ে অবস্থান নিতে চাপের মুখে পড়েছে, যেটা ভূরাজনীতির জন্য ভালো নয়।
তিনি যোগ করেন, ‘এগুলো প্রকৃতপক্ষে সমস্যার কারণ, সমাধান নয়। কারণ এসব বিবৃতি হামাসকে উৎসাহিত ও পুরস্কৃত করছে, যার ফলে হামাসের সামনে এখন যেকোনো চুক্তি বা বন্দি মুক্তির সম্ভাবনা কমে গেছে।’
তিনি এসব দেশকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা যেন দ্রুত ২০ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য হামাসকে চাপ দেয়।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জুনের শেষ দিকে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তিনি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ও মাল্টার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ক্রিস্টোফার কুতাজারও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ঘোষণা দিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে ‘ইসরায়েল’ নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হলে ব্রিটেন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।