ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

সকালে ঘুম থেকে ওঠার সেরা সময় কোনটি?

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৫, ০৮:২৬ এএম
ছবি- সংগৃহীত

সকালে কখন ঘুম থেকে উঠলে শরীর ও মন থাকে সতেজ এবং কর্মক্ষমতা বাড়ে—এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, ভোর ৫টা থেকে ৬টা ৩০ মিনিটের মধ্যে ঘুম থেকে ওঠা সবচেয়ে উপকারী।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় শরীরের সার্কেডিয়ান রিদম বা প্রাকৃতিক ঘড়ি সূর্যের আলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে। এতে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকে, শক্তির স্তর বাড়ে এবং মানসিক সুস্থতা বজায় থাকে।

ভোরের নির্মল ও শান্ত পরিবেশ মনকে প্রশান্ত করে। এই সময় হালকা ব্যায়াম, যোগব্যায়াম বা মেডিটেশনের মাধ্যমে সারাদিনের ক্লান্তি কমে যায় এবং মানসিক ফোকাস বাড়ে। শহরের কোলাহলমুক্ত এই সময় প্রকৃতির সান্নিধ্য পাওয়ারও একটি দুর্লভ সুযোগ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কেবল ভোরে ওঠাই যথেষ্ট নয়—তার আগে পর্যাপ্ত ঘুমও জরুরি। রাত ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে ভোরে ওঠা হলে ঘুম পূর্ণ হয় এবং শরীর ও মনের ভারসাম্য বজায় থাকে। অন্যদিকে, যারা সকালে ৯টা-১০টা পর্যন্ত ঘুমান, তাদের ক্লান্তি, মেজাজ খারাপ ও মনোসংযোগে সমস্যা হতে পারে।

অতিরিক্ত দেরিতে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসে স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও মানসিক সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। যদিও ব্যক্তিভেদে শরীরের ঘড়ির পার্থক্য থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে—যারা সূর্যোদয়ের কাছাকাছি সময় জাগেন, তারা সাধারণত বেশি সক্রিয় ও ইতিবাচক থাকেন।

দিল্লি এইমসের নিউরোলজিস্ট ডা. অরবিন্দ গুপ্তা বলেন, ‘রাত ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে সকাল ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে উঠলে সার্কেডিয়ান রিদম ঠিক থাকে। এতে হার্ট, মস্তিষ্ক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।’

সুস্বাস্থ্য ও সক্রিয় জীবনের জন্য প্রতিদিন একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। তবে তা যেন পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করেই হয়।