কক্সবাজারে ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজি অটোরিকশার তিন নারী ও এক শিশুসহ মোট পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার রশিদনগর পানিরছড়া-ভারুয়াখালী এলাকায় একটি রেলক্রসিংয়ে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের মধ্যে মরিয়ম আকতার ও সিএনজি চালক সাহাব উদ্দিনের নাম জানা গেলেও বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তবে নিহতদের সবাই কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ডাক্তার দেখিয়ে ফেরার পথে একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশা রেলক্রসিং পার হওয়ার চেষ্টা করে। মুহূর্তেই ট্রেনটি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে তা ট্রেনের নিচে চলে যায়। ট্রেনটি প্রায় এক কিলোমিটার দূর পর্যন্ত অটোরিকশাটি টেনে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন।
ঈদগাঁও ইসলামাবাদ রেলস্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘দুপুর সাড়ে ১২টায় কক্সবাজার স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় পর্যটক ৮১৩ নম্বর এক্সপ্রেস ট্রেনটি। সেটির ধাক্কাতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।’
এদিকে, দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী অংশে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রেনে ভাঙচুর চালায় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। নিহতদের মরদেহ এখনো রেললাইনের পাশে পড়ে আছে।